নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ২১ মে থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি শুক্রবারেও বহাল থাকছে। আরইবি-পবিস দ্বৈত ব্যবস্থাপনা নিরসন, আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে অটল বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে ২৮ মে কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ঈদের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশনের ব্যানারে চলমান আন্দোলন এবং সংগঠনটি বিধিবদ্ধ কোন সংগঠন নয় বলে উল্লেখ করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের ওই পদক্ষেপের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক কোনরূপ আলোচনা না করে একপাক্ষিকভাবে মনগড়া ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে ‘মুক্তি অথবা মৃত্যু’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সংকটের গভীরতা উপলব্ধি করে কালক্ষেপণ না করে দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের জন্য সরকারের নিকট বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তাঁর দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে বিদ্যুৎ বিভাগসহ সরকার সংশ্লিষ্টদের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বরং সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অধিকার আদায়ের হাজার হাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জনবলকে অস্থিতিশীল সৃষ্টিকারী বলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা অথবা বল প্রয়োগ করে দমন পীড়ন কিংবা পূর্বের ন্যায় মিথ্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানির অপচেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সমিতির ৪৫ হাজার কর্মী শহীদ মিনার অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবে।