শিরোনাম
◈ আকবরের সেঞ্চুরি কা‌জে আস‌লো না, দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকার কা‌ছে ১০ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলা‌দেশ   ◈ শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ স্ক্যাবিস থেকে বাঁচার উপায়, সতর্ক হন এখনই! (ভিডিও) ◈ ঢাবি ছাত্র সাম্যকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ ◈ রাজনীতির পালাবদলে বিপাকে তারকারা: গ্রেফতার, মামলায় জর্জরিত অর্ধশতাধিক শিল্পী ◈ নানা বৈষম্যে চাকরি ছাড়ছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা! ◈ টিউলিপকে ফেরাতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি: দুদক চেয়ারম্যান ◈ সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিকের মৃত্যুর পর বিস্ময়কর দাবি ◈ আওয়ামী লীগের 'কর্মকাণ্ড', ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ◈ দুদকের তলবে সাড়া দেননি টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২৫, ০৮:১৩ রাত
আপডেট : ১৪ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাবি ছাত্র সাম্যকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহরিয়ার গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছসংলগ্ন পুরোনো ফোয়ারার কাছে আসার পর অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জন তাঁদের মোটরসাইকেল দিয়ে শাহরিয়ারের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।

পুলিশ বলেছে, এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ‘দুষ্কৃতকারীদের’ বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। তর্ক–বিতর্কের একপর্যায়ে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ শাহরিয়ার ও তার বন্ধুদের ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করেন। একজন শাহরিয়ারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ঊরুর পেছন দিকে আঘাত করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জখম অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। এ সময় ‘দুষ্কৃতকারীরা’ শাহরিয়ার ও তাঁর বন্ধুদের বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখানোর পাশাপাশি হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে শাহরিয়ারকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় শাহরিয়ারের বড় ভাই এস এ এম শরিফুল আলম শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। থানা-পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন আসামি তামিম, সম্রাট ও পলাশের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। আজ বুধবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও পলাশ সরদার (৩০)।

শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এই হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন শাহরিয়ার। তাঁর হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদল। সেই বিক্ষোভ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। উৎস: প্রথম আলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়