শিরোনাম
◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৮ বিকাল
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভাইরাল ট্রাভেল হ্যাক নিয়ে সতর্কতা: জিপ টাই দিয়ে লাগেজ বাঁধা বিপজ্জনক

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায় নানা রকম ট্রাভেল হ্যাকস। এর মধ্যে একটি হলো নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্যুটকেসের জিপার জিপ টাই দিয়ে বেঁধে ফেলা। তবে এই ভাইরাল টিপসকে ‘অপ্রয়োজনীয় ও বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও থেকে। কিসা ফ্রাঙ্কলিন নামের একজন আমেরিকান নাগরিক সহজ ও বাজেট-ফ্রেন্ডলি লাগেজ সুরক্ষার কৌশল দেখাতে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। এর মধ্যে একটি ছিল, স্যুটকেসের জিপারে জিপ টাই ব্যবহার করা। সেই ভিডিওতে কমেন্ট করেন আলি নামে একজন মার্কিন ব্যাগেজ হ্যান্ডলার। সেখানেই প্রকাশ পায় এই টিপস খুব একটা কার্যকর নয়।

আলি মন্তব্য করেন, ‘একজন র‍্যাম্প এজেন্ট হিসেবে এটা খুব হাস্যকর! দয়া করে স্যুটকেসে জিপ টাই বা ডেডবোল্ট ব্যবহার করবেন না। যদি ব্যাগ ফেটে যায়, তাহলে আমরা আপনার জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারব না।’ তিনি নিজের কথার ব্যাখ্যা দিয়েছেন একটি আলাদা ভিডিওতে। সেখানে তিনি জানান, লাগেজ লোডিং-অনলোডিংয়ের সময় ব্যাগ পড়ে গেলে বা ধাক্কা খেলে জিপার খুলে যেতে পারে। সাধারণত, হ্যান্ডলাররা তখন ভেতরের জিনিস গুছিয়ে ফের জিপ বন্ধ করে দেন। কিন্তু জিপ টাই দিয়ে জিপার বাঁধা থাকলে তা কোনো টুল ছাড়া খোলা সম্ভব হয় না, ফলে ব্যাগ খোলা অবস্থায় থেকে যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব ভেতরের জিনিস গুঁজে রাখি। কিন্তু আপনার ব্যাগ খোলা থাকবেই।’ অনেক যাত্রী মনে করেন, জিপ টাই ব্যবহার করলে লাগেজে অতিরিক্ত নিরাপত্তা যোগ হয়। কিন্তু এটি আসলে ব্যাগ হ্যান্ডল করার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে।

বিমানবন্দরের কর্মীরা ব্যাগ দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত হয়ে থাকেন। কাজের সময় জিপ টাইয়ের মতো অতিরিক্ত বাঁধা তাদের কাজের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাগ সামলাতে তাঁদের সক্ষমতাকেও বাধাগ্রস্ত করে। মোট কথা, জিপ টাই দিয়ে ব্যাগ সুরক্ষিত রাখার এই ভাইরাল হ্যাকটি ব্যবহারিক নয়। বরং জিনিস হারানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ব্যাগ যদি ট্রানজিটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে হ্যান্ডলাররা ঠিকঠাক রিসিল করতে পারবেন না। তাতে আপনার জিনিসপত্র উন্মুক্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে।

তাই স্মার্ট ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সত্যিকারের কার্যকর পদ্ধতিই ব্যবহার করা ভালো। এর পরিবর্তে টিএসএ অনুমোদিত লক ব্যবহার করুন। লাগেজে এয়ার ট্যাগ বা ট্র্যাকার রাখুন। লাগেজের ভেতর কনটেন্ট কম্প্রেশন ব্যাগ ব্যবহার করে গুছিয়ে রাখুন।

নিরাপদ ভ্রমণের জন্য বিকল্প পরামর্শ

জিপ টাইয়ের ওপর নির্ভর না করে, আপনার ব্যাগ ও মূল্যবান সামগ্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আরও কার্যকর কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

মজবুত ও নির্ভরযোগ্য লাগেজ ব্যবহার করুন

রিইনফোর্সড (দৃঢ়) জিপারযুক্ত লাগেজ ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা কমে। ভালো মানের হার্ড কেস লাগেজ আপনার জিনিসকে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে।

ব্যাগে স্পষ্ট লেবেল ও ট্যাগ লাগান

আপনার নাম ও যোগাযোগের তথ্যসহ লাগেজ ট্যাগ ব্যবহার করুন। ব্যাগ হারিয়ে গেলে এটি এয়ারপোর্ট স্টাফদের দ্রুত শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাদা ব্যাগে রাখুন

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ওষুধ, চার্জার, টিকিট, পাসপোর্ট ইত্যাদি একটি ছোট হ্যান্ডব্যাগ বা ব্যাকপ্যাকে রাখুন। তাতে মূল ব্যাগ হারালেও আপনি জরুরি জিনিসপত্র হাতে পাবেন।

তরল জিনিস ট্রাভেল-সাইজ কনটেইনারে রাখুন

যাত্রাপথে ফ্লুইড বা তরল জিনিস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে ট্রাভেল-সাইজ কনটেইনার ব্যবহার করলে ঝুঁকি কমে।

মূল্যবান জিনিস ক্যারি-অন ব্যাগে রাখুন

গয়না, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, নগদ অর্থ ইত্যাদির মতো দামি ও জরুরি জিনিস বড় ব্যাগে না রেখে হাতে রাখা ক্যারি-অন ব্যাগেই রাখুন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্রমণসংক্রান্ত নানান টিপস ও হ্যাকস পাওয়া যায় সব সময়। সেগুলোর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা বাস্তবতার আলোকে মূল্যায়ন করাই গুরুত্বপূর্ণ। এয়ারপোর্ট পরিচালনার বাস্তবতা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বিবেচনায় রাখলে, ভ্রমণকারীরা আরও নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিষয়টি আপনার সামগ্রিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে। সূত্র: ডেইলি মেইল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়