ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য দেশব্যাপী কোরবানি দিচ্ছে মানুষ। গরু-ছাগল জবাইয়ের পর অনেকেই ভুঁড়ি নিয়ে বিরম্বনায় পড়েন। মুখে জল আসা এই মুখরোচক এই খাবারটি রান্নার আগে ঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে বেশ সময় লেগে যায়, এ ছাড়া সহ্য করতে হয় দুর্গন্ধ। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায় ভুঁড়ি।
গরু বা ছাগলের ভুঁড়ি পরিষ্কারের জন্য প্রথমেই বড় বালতি, ছুরি, স্ক্র্যাপার, চুন, লবণ, গরম পানি, ভিনেগার অথবা লেবুর রস এবং স্যানিটারি গ্লাভস জোগাড় করতে হবে। এরপর ভুঁড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর ফলে ভেতরের জমে থাকা চর্বি-ময়লা সহজেই উঠে যাবে। পরবর্তীতে ভুঁড়ি কেটে বা ফুঁড়ে ভেতরের অংশ খুলে ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এরপর এতে জমে থাকা ময়লা হাত দিয়ে বের করতে ফেলতে হবে এবং কয়েকবার ভালোভাবে কচলে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর দুই-তিন টেবিল চামচ লবণ ও দুই চা চামচ চুন ভুঁড়ির ওপর ছিটিয়ে ভালোভাবে ঘষে দিন। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার স্ক্র্যাপার বা ছুরি দিয়ে উপরের কালচে চামড়ার স্তর ঘষে তুলে ফেলুন।
প্রয়োজনে আরও লবণ ও চুন ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘষার সময় হালকা দুর্গন্ধ হতে পারে, কিন্তু পরে ধুয়ে ফেললে কমে যাবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে- চুনের মাত্রা বেশি হলে ভুঁড়ির স্বাভাবিক টেক্সচার নরম হয়ে যেতে পারে। তাই চুনের পরিমাণ ও ব্যবহার বুঝে সাবধানে করতে হবে।
এবার চুন ও লবণ ঘষার পর ভুঁড়ি ভালোভাবে কয়েকবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এর ফলে ভুড়িতে লেগে থাকা ময়লা উঠে যাবে ও দুর্গন্ধও অনেকটা কমে যাবে। এ সময় পানিতে কয়েক চামচ ভিনেগার বা লেবুর রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে—ভুঁড়ির গন্ধ আরো কমবে।
ভুঁড়ি পরিষ্কার করার সময় ভুঁড়ির বাইরের অংশ হালকা আঁচে আগুনে ধরে কিছুটা সেঁকে নিলে চামড়ায় থাকা অবশিষ্ট চুল বা ময়লা পুড়ে যায় ও পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু এ সময় সতর্ক হতে হবে, কারণ লম্বা সময় আগুনে তাপে ভুঁড়ি শক্ত হয়ে যেতে পারে।
সবশেষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভুঁড়ি আবার ধুয়ে নিয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিতে হবে। রান্নার আগে ভুঁড়ি লবণ ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে ১০–১৫ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখালে রান্নার সময় দুর্গন্ধ অনেকটাই কমে যাবে।