এল আর বাদল : আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ভারতের ইসলাম ধর্মের প্রচারক জাকির নায়েক বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তাঁকে লাল গালিচায় অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রায় এক মাসব্যাপী বাংলাদেশে থাকবেন জাকির। বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দেবেন তিনি। বাংলাদেশ সরকার সূত্রে খবর, চলতি বছর ২৮ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাকিরের সফর নির্ধারিত হয়েছে। এ খবর প্রচার করেছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম `আজকাল'।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে হলি আর্টিজান বেকারিতেতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। নৃশংসতায় ২০ জন নিহত হন। সেই হামলার পর পরই বাংলাদেশে জাকির নায়েকের পিস টিভি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভারত বারবার মালয়েশিয়া থেকে 'পলাতক' জাকির নায়েকের প্রত্যর্পণের আবেদন করেছে। ২০১৬ সাল থেকে নায়েক মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন বলে দাবি নয়াদিল্লির। কিন্তু কুয়ালালামপুর এখনও ভারতের এই দাবি মেনে নেয়নি।
এর আগে গত বছর পাকিস্তান ভারতের মোস্ট ওয়ানটেড জাকির নায়েককে জাতীয় সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল রাজকীয় অভ্যর্থনা।
পাকিস্তান সফরে জাকির নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ছিলেন। সাক্ষাৎকারীদের মধ্যে ছিলেন, কমান্ডার মুজাম্মিল ইকবাল হাশমি, মুহাম্মদ হারিস ধর এবং ফয়সাল নাদিম। এদের সকলকে ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে মনোনীত করেছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অনুমোদিত ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে, নায়েক লাহোরের বাদশাহী মসজিদে হাশমি এবং অন্যান্য লস্কর সদস্যদের আলিঙ্গন করছেন, যেখানে তিনি লাহোর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দেড় লাখেরও বেশি লোকের বিশাল সমাবেশে ভাষণ দেন।