মৃত্যুর পর কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম মঞ্জিল। যারা এ মঞ্জিল থেকে সহজে মুক্তি পাবেন তাদের বাকি মঞ্জিলগুলো সহজ ও আরামদায়ক হবে। আর যারা এ মঞ্জিলে শাস্তি পাবেন তাদের পরবর্তী মঞ্জিলগুলো আরও ভয়ংকর হবে
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এ দোয়া পাঠ করেন,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ القُبُورِ، يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ، أَنْتُمْ سَلَفُنَا، وَنَحْنُ بِالأَثَرِ (উচ্চারণ: আসসালাামু ‘আলাইকুম ইয়া আহলাল ক্বুবূরি ইয়াগফিরুল্লাাহু লানাা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনাা ওয়া নাহনু বিল আসার।)
অর্থ: হে কবরবাসী! আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তাআলা আমাদের, আপনাদের ক্ষমা করে দিন। আপনারা আমাদের পূর্বে গমনকারী। আমরাও আপনাদের পিছনে পিছনে আসছি।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, একবার নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কবর জিয়ারতে গিয়ে বলেন,
السَّلامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤمِنينَ وإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ (উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিন মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন।)
অর্থ: মুমিন এ ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো। (মুসলিম: ২৪৯)
কবর জিয়ারতের নিয়ম
কবরস্থানে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম জিয়ারতের দোয়া পড়বেন। এরপর কবরবাসীর ইসালে সওয়াবের নিয়তে দরুদ শরিফ ও বিভিন্ন সুরা ইত্যাদি পড়বেন। মৃতের বা কবরবাসীর মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস ও যেসব সুরা সহজ মনে হয়, সেগুলো পড়ে মৃত ব্যক্তির রুহের ওপর সওয়াব পাঠিয়ে দিন।
চাইলে হাত না তুলেও মনে মনে দোয়া করতে পারেন। তবে কবর সামনে রেখে দুই হাত তুলে দোয়া করা উচিত নয়। তাই কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কিবলামুখী হয়ে দোয়া করতে হবে।
সূত্র: সময়