শিরোনাম
◈ চালক-যাত্রীদের অনুরোধেও সড়ক ছাড়েননি ছাত্র-জনতা ◈ আজ সন্ধ্যায় দেশে পৌঁছাবে ওসমান হাদির মরদেহ, শনিবার জানাজা ◈ তারেক রহমানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে যে দুই ইস্যু ◈ যেভাবে বিপ্লবী হয়ে উঠেছিলেন শরিফ ওসমান হাদি ◈ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ শাহবাগে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যোগ দিলেন নাহিদ-আসিফ (ভিডিও) ◈ হাদির মৃত্যু: চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে আগুন-ভাঙচুর ◈ কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাঙচুর (ভিডিও) ◈ দেশে ফিরলে তারেক রহমানকে এসএসএফের নিরাপত্তা দেবে সরকার ◈ ‘ভাইয়া আমার বাচ্চাটারে একটু দেইখেন’—বলে কেঁদেছিলেন হাদি (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৫ দুপুর
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহার: নবীজির প্রিয় আমল ও ইসলামের সৌন্দর্যময় সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি

জুমাবার অর্থাৎ শুক্রবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সপ্তাহের বাকি ছয় দিনের তুলনায় অধিক মর্যাদাসম্পন্ন দিনটির আমলও অনেক ফজিলতপূর্ণ। এই দিনের ইবাদত যেন সর্বোত্তমভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে ইসলাম কিছু সুন্দর ও শিষ্টাচারভিত্তিক নির্দেশনা দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো- সুগন্ধি ব্যবহার। আর সুগন্ধি ব্যবহার করা সব সময়ই সুন্নত ও উত্তম কাজ। রাসুল (সা.) সব সময় সুগন্ধি ব্যবহার করতেন।

আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, চারটি কাজ সব নবির সুন্নত; সুগন্ধি ব্যবহার করা, বিয়ে করা, মেসওয়াক করা ও লজ্জাস্থান আবৃত রাখা। (মুসনাদে আহমা: ২২৪৭৮)

নবীজি (স.)-এর সরাসরি নির্দেশনা

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘জুমার দিন তোমরা মিসওয়াক করবে এবং যার সুগন্ধি আছে, সে তা ব্যবহার করবে।’ (সহিহ বুখারি: ৮৮০)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহার শুধু পরিচ্ছন্নতার অংশ নয়, বরং ইবাদতের প্রস্তুতির একটি অনন্য উপায়ও বটে।

মসজিদের পরিবেশকেও সুবাসিত করার নির্দেশ

দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) জুমার দিনে জোহরের আগে মসজিদে সুগন্ধি ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন। এছাড়াও রাসুলুল্লাহ (স.) মসজিদ পরিষ্কার রাখা এবং সুবাসিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘তোমরা তোমাদের মসজিদগুলো পরিষ্কার রাখো এবং তা সুগন্ধি দাও।’ (ইবনে মাজাহ: ৭৫৯)

সুগন্ধি ব্যবহারের তাৎপর্য

জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহারের রয়েছে বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। যেমন-

ইবাদতের প্রস্তুতি: নামাজের আগে সুগন্ধি ব্যবহার মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে।

পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য: সুগন্ধি ব্যবহারে একজন মুসলিম পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল জীবনধারার পরিচয় দেন।

সম্মান প্রদর্শন: জুমার দিনের মর্যাদা রক্ষা ও সম্মান জানাতে সুগন্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

ইবাদতের পরিবেশে সৌহার্দ্য: মসজিদে সবাই যখন সুগন্ধি ব্যবহার করে আসেন, তখন তা ইবাদতের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তোলে।

জুমার আরো কিছু আমলের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তন্মধ্যে কিছু আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে- এক. গোসল করা। দুই. উত্তম পোশাক পরিধান করা। তিন. সুগন্ধি ব্যবহার করা। চার. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

জুমার দিনে সুগন্ধি ব্যবহার ইসলামের সৌন্দর্যময় সংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল দিক। এটি যেমন ইবাদতের মর্যাদা বাড়ায়, তেমনি মুসলিম সমাজে পরিচ্ছন্নতা, রুচিবোধ ও সৌহার্দ্য তৈরি করে। তাই ব্যক্তি জীবনে এই সুন্নত অনুসরণ ও তা সমাজে প্রসারে আমাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়