শিরোনাম
◈ অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সজীব ওয়াজেদের নামে মামলা করছে দুদক ◈ নিরাপত্তা হুমকিতে থাকা সাক্ষীকে সুরক্ষা দিতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ ◈ ভারতকে পাক সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র ◈ আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব ◈ বিশ্বের শীর্ষ মুদ্রায় মুসলিম দেশগুলোর দাপট, প্রথম চারটি মধ্যপ্রাচ্যের ◈ গুলশানকাণ্ডে কোনো উপদেষ্টা জড়িত কিনা, স্পষ্ট হওয়া দরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ অপুকে দিয়ে জোর করে চাঁদাবাজির স্বীকারোক্তির ভিডিও বানানো হয়েছে: দাবি অপুর স্ত্রীর (ভিডিও) ◈ 'যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং তাকে আটক করা না হয় তাহলে সে সহজেই অদৃশ্য হয়ে যাবে' ◈ চাঁদাবাজিতে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই, ৫ আগস্টের পর অপুর সাথে কথা হয়নি : আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: দগ্ধ শিক্ষক মাহফুজার মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:১৫ দুপুর
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

'যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং তাকে আটক করা না হয় তাহলে সে সহজেই অদৃশ্য হয়ে যাবে'

এনডিটিভি : বাংলা ভাষায় কথা বললেই হেনস্থা করা হচ্ছে বাঙালি শ্রমিকদের, বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের! প্রায় সব বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকেই এই ধরনের অভিযোগ আসছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকরা। একাধিক রাজ্যে বহু বাঙালি শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঙালিদের হেনস্তার অভিযোগ উঠছে। এমনই অভিযোগ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে তোলপাড় দেশ। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে আগেই। এবার জনস্বার্থ মামলা উঠলো ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার ওয়েলফেয়ার বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তবে ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কোনও নির্দেশ দিল না শীর্ষ আদালত। মৌখিক পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ধরপাকড় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই মুহূর্তে কোনওরকম নির্দেশ দিলে সেটার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই মুহূর্তে আদালত কোনও নির্দেশ দিলে বাংলাদেশ থেকে বৈধ নথি-সহ এ দেশে এসেছেন যারা, তাদের সমস্যা হতে পারে। আবার একই সঙ্গে বেঞ্চ বলে, “যদি কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং তাকে আটক না করা হয় তাহলে সে সহজেই অদৃশ্য হয়ে যাবে!” 

সব দিক বিবেচনা করে শীর্ষ আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। যার অর্থ ভিনরাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে যে ধরপাকড় চলছে সেই ধরপাকড় প্রক্রিয়া চলবেই। শীর্ষ আদালতের সাফ কথা, যারা অবৈধ ভাবে ভারতে এসেছে, নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী তাদের নির্বাসন দেয়ার প্রয়োজন! তাছাড়া যে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করছেন, সেই রাজ্যেরও অধিকার রয়েছে শ্রমিকদের তথ্য জানার। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের তরফে দায়ের হওয়া ওই মামলায় বাংলাদেশি অভিযোগে ধরপাকড়ে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।

অনবাদ: মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়