শিরোনাম
◈ আলাস্কায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক শুরু, তিন বছরের রক্তক্ষয়ী ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান কি আসন্ন? ◈ বর্তমান সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন হলে এনসিপি অংশ নিবে না: হান্নান মাসউদ ◈ মার্কিন পাল্টা শুল্কে চীনের হারানো বাজার দখলে নতুন উত্থানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ◈ জুলাই সনদ’কে সর্বোচ্চ আইনি মর্যাদা দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি চাইছে ঐকমত্য কমিশন ◈ দোয়ারাবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ কেন সামরিক ঘাঁটিতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও পুতিন ◈ মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো ৯৮ বাংলাদেশিকে ◈ ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে আসিনি, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে বললেন ট্রাম্প ◈ ছেলেদের স‌ঙ্গে খে‌লে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবে নারীরা ◈ রোজগারের স্বপ্নে সৌদি আরব গিয়ে ‘না খেয়ে’ হাসপাতালের গেটে প্রাণ হারালেন সাফিউল

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েল কি ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে?

পার্স টুডে - গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের শুরু থেকে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালের হামলার পর থেকে অধিকৃত নানা অঞ্চলগ থেকে বিপরীত অভিবাসনের প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফার্স নিউজ এজেন্সি সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে লিখেছে: গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, এবং বিশেষ করে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালের হামলার পর, অধিকৃত অঞ্চলগুলি থেকে ইহুদিবাদী দখলদারদের বিপরীত অভিবাসনের প্রক্রিয়া জোরদার হয়েছে। এইসব ইহুদিবাদী দখলদারদের বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং প্রযুক্তি, চিকিৎসা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত।

পার্স টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক বছরের মধ্যে ৮২,০০০-এরও বেশি ইহুদিবাদী এলিট ও বিশেষজ্ঞ অধিকৃত অঞ্চল ত্যাগ করেছে। মূলত ২৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী তরুণ, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ ও পেশাদার গোষ্ঠী থেকে আসা ইহুদিবাদী অভিবাসীরা অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারণে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইহুদিবাদী বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যারন সিচানোফার অভিবাসনের এই ঢেউ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন: "যদি এই গুরুত্বপূর্ণ অভিজাতদের মধ্যে মাত্র ত্রিশ হাজার জন ইসরায়েল ছেড়ে চলে যায়, তাহলে ইসরায়েলের কার্যত কোন ভবিষ্যৎ থাকবে না।" তার মতে এই পরিস্থিতির মূল কারণ নেতানিয়াহুর ডানপন্থী সরকারের নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্বলতা। আর এর ফলে ইসরায়েলের প্রগতিশীল অংশগুলো নিরাপত্তাহীন ও অসহায় বোধ করছে।

ইসরাইলি এলিটদের বা অভিজাত ইহুদিবাদীদের অধিকৃত ফিলিস্তিন ত্যাগ করার পাশাপাশি অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে মূলধনের প্রবাহও উদ্বেগজনক হারে বের হয়ে যাওয়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরায়েলিরা ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূলধন বিদেশে স্থানান্তর করেছে বলে জানা গেছে, যা আগের তিন বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই পরিস্থিতির জন্য গাজা যুদ্ধ, বিচার বিভাগীয় সংস্কার এবং ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বরখাস্তকে দায়ী করছেন, যা ইসরায়েলের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর আস্থা মারাত্মকভাবে হ্রাস করেছে। অনেক ধনী ব্যক্তি ও বিনিয়োগকারী তাদের সম্পদ বিদেশে স্থানান্তর করতে এবং সেখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়