শিরোনাম
◈ সরকারি চাকরির সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাতেই হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ◈ এক লাখ ৪০ হাজার টন সার আমদানি করছে সরকার ◈ তিন শিক্ষার্থী ও দুই জন অভিভাবক এখনো নিখোঁজ, বলছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ◈ বাংলাদেশ ব্যাংকে শালীন ও পেশাদার পোশাকের নির্দেশনা, নারী-পুরুষ কর্মীদের জন্য স্পষ্ট বিধি ◈ আগামী বছরের প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির (ভিডিও) ◈ যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ◈ আই‌সি‌সির টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বো‌লিং র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ ◈ ঢাকায় পি‌সি‌বির সভাপ‌তি, ভারত ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াই বৃহস্প‌তিবার  শুরু হ‌চ্ছে এসিসির সভা ◈ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২২ মরদেহ হস্তান্তর

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই, ২০২৫, ০৮:১২ রাত
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ডলারের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ: শুল্ক, সুদহার ও বাজারে উদ্বেগের ছায়া

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছেন মার্কিন বিনিয়োগকারীরা। এতে তারা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন যে, কপারে ৫০ শতাংশ কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণাতেও এখন তেমন প্রতিক্রিয়া হয় না।

ব্যতিক্রম ঘটেছিল গত ১৬ জুলাই, যখন ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তখন ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বাড়ে এবং ডলারের দাম পড়ে যায়। পরে তিনি মত বদলান এবং বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। পরদিনই মার্কিন শেয়ারবাজার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়।

তবে বিনিয়োগকারীরা এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে একেবারে উপেক্ষা করছেন না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডলারের মূল্য ধনীদের দেশগুলোর মুদ্রার বিপরীতে প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে, যা তার অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের পূর্বাভাসের ঠিক বিপরীত। বেসেন্ট ধারণা করেছিলেন, আমদানি কমার কারণে ডলারের চাহিদা বাড়বে।

হঠাৎ শুল্কারোপ, বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি—এসব কারণে মার্কিন সম্পদে বিনিয়োগ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে: তারা কতটা সতর্ক? ট্রাম্পের ‘লিবারেশন ডে’র তিন মাস পর ডলার কি এখনো নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে অবস্থান ধরে রাখতে পারছে?

সুদের হারের সম্পর্ক ছিন্ন
মুদ্রার দামের ক্ষেত্রে সাধারণত সুদের হার মূল চালক হিসেবে কাজ করে—যেখানে উচ্চ সুদের হার মানে বিনিয়োগে বেশি রিটার্ন, ফলে মুদ্রার চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এপ্রিল মাসে সেই সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সম্পদ বিক্রি করতে শুরু করেন, ফলে বন্ডের সুদহার বাড়ে কিন্তু ডলারের দাম পড়ে যায়—যা সাধারণত উদীয়মান অর্থনীতিতে দেখা যায়। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যেও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল লিজ ট্রাসের বাজেট ঘোষণার পর।

এপ্রিলের পর থেকে ডলার এবং সুদের হারের পার্থক্য আবার সমন্বিতভাবে চলতে শুরু করেছে। তবে ডলার এখনো এপ্রিলের ধাক্কা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অর্থাৎ, ট্রাম্পের নীতিগত পদক্ষেপ ডলারের ওপর স্থায়ীভাবে প্রভাব ফেলেছে।

ঝুঁকির সময় ডলারের ব্যতিক্রমী আচরণ
ঐতিহাসিকভাবে, বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়লে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের দিকে ছুটে যান। কিন্তু এপ্রিলের পর সেই প্যাটার্নেও পরিবর্তন এসেছে। ভিআইএক্স ইনডেক্স (বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ নির্দেশ করে) বাড়লেও ডলারের দাম কমেছে।

অর্থনীতিবিদ স্টিভেন কামিন বলেন, ভিআইএক্স আর ডলারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে ডলারের ‘নিরাপত্তাহীনতা’ মাপা সম্ভব। তার সূচকে দেখা যাচ্ছে, ‘লিবারেশন ডে’র পর ডলারের নিরাপত্তা কিছুটা দুর্বল হয়। তবে পরে তা আবার স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসে।

ক্ষতির সঙ্গে উদ্বেগ
এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, সেই ক্ষতি ক্রমাগত বাড়ছে না। তবে আবার যদি বড় কোনো রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। যেমন- আগামী ১ আগস্ট ট্রাম্প যদি নতুন করে ২৬ শতাংশ শুল্কারোপ করেন, তাহলে বাজারে আবার সেই এপ্রিলের মতো আতঙ্ক ফিরে আসতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়লেও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়