জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদ মিলনকে (৫৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু এ তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. রনি (২২) ও মো. রকি (২০) সদর উপজেলার আদিলপুর গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে। রনি মামলার এজাহারভুক্ত ২ নাম্বার ও রকি ৬ নাম্বার আসামি।
নিহত মিলন বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিহত কাউছারদের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গত ৫ জুন দুপুরে রাজিবপুর এলাকায় বাদীর বাড়ির সামনে অভিযুক্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাউসারের ভাই আফতাব হোসেন আরজুর ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি দেখে কাউছার তার ভাইকে বাঁচাতে যায়। তখন তার মাথার পেছনে লোহার রড দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়।
এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে এলোপাতাড়ি পেটানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের সামনে তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
এতে ভয়ে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে সন্ধ্যায় কাউছারের অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৮ জুন নিহতের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, রনি ও রকি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদের সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।