শিরোনাম
◈ ‘সাদিক কায়েমের কোনো অসততার অভিযোগ নেই এখন পর্যন্ত’ ◈ আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব ◈ শৈলকুপায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৬ ◈ বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র, মাছ ধরার ট্রলার না যাওয়ার নির্দেশ ◈ মে‌সির ইন্টার মায়ামির নাটকীয় জয় ◈ “জাতীয় সরকারের প্রস্তাব বিএনপিকে দেওয়া হয়েছিল”, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য খণ্ডন করলেন নাহিদ ইসলাম ◈ খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, ১৩ ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে ◈ মৌলভীবাজারে দিনদুপুরে ব্যবসায়ী ও মেয়ের গলায় দা ধরে ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই ◈ টিকটক প্রেম থেকে বিয়ে: সুমাইয়ার টানে চীন থেকে মাদারীপুরে শি তিয়ান জিং

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৫, ০২:৩২ দুপুর
আপডেট : ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫ লাখ ওয়ার্ক ভিসা দেবে ইতালি, সুযোগ পাবেন যারা

শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বৈধ অভিবাসন বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে ইতালি। দেশটির সরকার সোমবার জানিয়েছে, ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য প্রায় ৫ লাখ নতুন 'ওয়ার্ক ভিসা' দেওয়া হবে।

সোমবার (৩০ জুন) ইতালির মন্ত্রিসভা এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৬ সালে প্রথম দফায় দেওয়া হবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি ভিসা। পরবর্তী দুই বছরে আরও ধাপে ধাপে ভিসা দেওয়া হবে, যার সংখ্যা দাঁড়াবে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৫০ জনে।

ডানপন্থী জোটের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বড় পরিসরে বৈধ অভিবাসনের দ্বার খুলল ইতালি। এর আগে তার সরকার ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে অভিবাসীদের জন্য সাড়ে চার লাখেরও বেশি পারমিট ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তবে বৈধপথে শ্রমিক আনার উদ্যোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মেলোনি সরকার অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শরণার্থী পুনর্বাসন দ্রুত সম্পন্ন করা এবং ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ড সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।

মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শ্রম ও শিল্প খাতের চাহিদা এবং পূর্ববর্তী প্রকৃত আবেদন যাচাই করে নতুন ভিসা কোটার সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে বাস্তবমুখীভাবে শ্রমবাজারে প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা যায়।

ইতালির জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা নতুন করে বিদেশি শ্রমিক আনার অন্যতম কারণ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মের তুলনায় ২ লাখ ৮১ হাজার বেশি মানুষ মারা গেছে, যার ফলে দেশের মোট জনসংখ্যা ৩৭ হাজার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজারে। জন্মহার কমে যাওয়ায় বিগত এক দশক ধরেই ইতালির জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

সরকারের এ উদ্যোগকে ইতালির কৃষিভিত্তিক সংগঠন কোলদিরেত্তি স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি মাঠপর্যায়ে শ্রমিকের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'বৈধ অভিবাসনের পথ খোলা রাখতে সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাবে। এটি আমাদের অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতের জন্য সুফল বয়ে আনবে।'

জনসংখ্যা ধরে রাখতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ইতালিকে কমপক্ষে এক কোটি অভিবাসীকে গ্রহণ করতে হবে বলে এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে ‘ওসেরভাতোরিও কন্তি পাব্বলিচি’ নামের একটি নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়