শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো পুলিশ: প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা ◈ "পাষন্ড স্বামীর কান্ড" ঈদের দিন স্ত্রী কে জবাই করে হত্যা ◈ দ্রুতগতিতে টার্ন নিতে গিয়ে যাত্রীবাহী কোচ খাদে পড়ে ৫৫ যাত্রী আহত ◈ সৌদি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানা গেলো ২০২৬ সালে কবে রমজান ও ঈদ ◈ ‌ক্রিকেটার‌দের পাওনা টাকা না দিয়ে দেশ ছাড়া ক‌রে‌ছে ওমান ক্রিকেট বোর্ড ◈ ভারতে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল পাকিস্তান'- জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়ে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী ◈ ‌টি‌কি‌টের দা‌বি‌তে বাফুফে ভবনের সামনেই ফুটবল আলট্রাসের ঈদ ◈ নেত্রীর সঙ্গে দেখা আমাদের প্রেরণা দেয়’—ঈদ রাতে ফিরোজায় বিএনপি নেতারা ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব? কী বলছে নির্বাচন কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা ◈ স্যার পাঁচ বছর, স্যার পাঁচ বছর’

প্রকাশিত : ০৬ জুন, ২০২৫, ০৪:২০ দুপুর
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় গোয়েন্দাদের ফোকাসে এবার 'ম্যাডাম এন'

পাকিস্তানের লাহোরে একজন ‘ট্রাভেল এজেন্সি’ পরিচালনাকারীর সন্ধান পেয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। অনুমান , তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের তার দেশে ভ্রমণে সহায়তা করেছিলেন। একইসঙ্গে তাদের গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করেছিলেন। সূত্রের খবর , পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর অধীনে কাজ করা, লাহোর-ভিত্তিক সংস্থা ‘জয়ানা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম’ পরিচালনাকারী ব্যবসায়ী নোশাবা শেহজাদ, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া জ্যোতি মালহোত্রার মতো ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের এবং আরও অনেককে পাকিস্তান ভ্রমণে সাহায্য করেছিলেন।

আইএসআই কর্তৃক 'ম্যাডাম এন' সাংকেতিক নাম দিয়ে পরিচিত শেহজাদ ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় আলোচনায় আসেন। সূত্রের খবর, তিনি কমপক্ষে ৫০০ গুপ্তচরের একটি বিশাল স্লিপার সেল নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য কাজ করছিলেন যারা ভারত জুড়ে  লুকিয়ে থাকতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শেহজাদ ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের তার দেশের সেনাবাহিনী এবং আইএসআইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেন এবং ভারতে বসবাসকারী হিন্দু ও শিখদের প্রলুব্ধ করতেন। তিনি গত ছয় মাসে প্রায় ৩,০০০ ভারতীয় নাগরিক এবং ১,৫০০ অনাবাসী ভারতীয় (এনআরআই) কে পাকিস্তান ভ্রমণে সহায়তা করেছিলেন। শেহজাদের প্রভাব দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের ভিসা বিভাগেও পৌঁছেছিল।

তিনি ফার্স্ট সেক্রেটারি (ভিসা) সুহেল কামার এবং কাউন্সেলর (বাণিজ্য) উমর শেরিয়ারের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন, যার অর্থ ছিল তিনি যাকে চাইবেন তিনি একটি ফোন কলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানি ভিসা পেয়ে যাবেন। তিনি আইএসআই-এর সক্রিয় সদস্য ড্যানিশ ওরফে এহসান-উর-রেহমানের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন, যিনি দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে ভিসা অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

জ্যোতি মালহোত্রার নাম প্রকাশের পর মে মাসে ড্যানিশকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভারত থেকে পাকিস্তানে পর্যটক পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের পর্যটন ভিসা দেওয়ার কোনও প্রক্রিয়া নেই, পাকিস্তানি হাই কমিশন 'ম্যাডাম এন'-এর সুপারিশ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ভিজিটর ভিসা প্রদান করে আসছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং আইএসআই-এর সাথে তার সংযোগ এর থেকেও প্রমাণিত হয় যে তার কোম্পানিই একমাত্র সংস্থা যা পাকিস্তানে শিখ ও হিন্দু তীর্থযাত্রার আয়োজন করে, যা ইভাকুই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ডের সাথে সহযোগিতায় কাজ করে।

অন্যদিকে, নোশাবা শেহজাদ ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন এবং সেই তহবিল পাকিস্তানি প্রচারণার জন্য ব্যবহার করতেন বলে সূত্রের খবর। তিনি সম্প্রতি দিল্লি এবং অন্যান্য শহরে কিছু ট্রাভেল এজেন্ট নিয়োগ করেছেন, যারা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কোম্পানির হয়ে প্রচার করছেন। সূত্র : এনডিটিভি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়