ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে বিমানবাহিনীর একটি সেনানিবাসের কাছে বিস্ফোরণ ও ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার (৯ মে) রাতে এসব বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান সেখানকার মানুষ।
বার্তসংস্থা রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের অমৃতসরে চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সাংবাদিক রবিন্দর সিংও ব্যাপক গোলাগুলির তথ্য জানিয়েছেন। তিনি তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ভিডিওটির শিরোনামে তিনি লিখেছেন, “কিছু সময় আগে, অমৃতসরে আজনলা সড়কের কাছে বিমানবাহিনীর সেনানিবাসের আশপাশ থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।”
এছাড়া ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের বাসিন্দারাও ড্রোন হামলার শব্দ শুনেছেন। রাহুল সিং ওবরেহ নামে এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকে জম্মুতে ব্ল্যাকআউট শুরু হয়। এর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর শুরু হয় ড্রোন হামলা। তিনি বলেন, “আমি আমার কর্মক্ষেত্রে আছি। আকাশে লাল বাতি এবং বিস্ফোরণ দেখতে পাচ্ছি।”
ধারণা করা হচ্ছে জম্মু ও অম্রিতসারে ড্রোন ভূপাতিত করার চেষ্টা করছে ভারতীয় সেনারা।
এদিকে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে তারা উত্তেজনা হ্রাস করবেন না। ভারত তাদের যে ক্ষতি করেছে সেটির জন্য তাদের পাল্টা জবাব পেতে হবে।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের এ সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা উত্তেজনা হ্রাস করব না— ভারত আমাদের যে ক্ষতি করেছে, তাদের আঘাত পেতে হবে।”
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরসহ বিভিন্ন জায়গায় মিসাইল হামলায় ভারত। তাদের এই হামলায় ৩৩ বেসামরিক মানুষ নিহত এবং ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আহমেদ শরীফ চৌধুরী। তিনি বলেন, “এটি হলো মূল্য যা আমরা দিয়েছি। প্রত্যেক ফোটা রক্ত সশস্ত্র বাহিনী এবং পাকিস্তানের মানুষের বিবেকে রয়েছে।”
ভারত হামলা চালানোর পর তাদের প্রতিহত করতে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা বিমান হামলা চালানো শুরু করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যারমধ্যে অত্যাধুনিক রাফাল বিমানও রয়েছে। ভারত রাফাল বিমান হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের এ সামরিক কর্মকর্তা। সূত্র: আলজাজিরা, দ্য ডন