শিরোনাম
◈ কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা ◈ বাংলা‌দে‌শের দুই আয়রনম্যান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সফল ◈ ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা জ্বালা গুট্টা এক‌টি হাসপাতা‌লে ৩০ লিটার স্তন্যদুগ্ধ দান করলেন ◈ হাসিনা বিরোধীদের দমন করতেন হিটলারের মতো: ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান ◈ যমুনা অভিমুখে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান–সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ (ভিডিও) ◈ বিবিএসের নামসহ বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু, আসছে আমূল পরিবর্তন ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ তিতুমীরের সামনে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ, মহাখালীতে যানজট ◈ মোবাইল নেটওয়ার্কে ইয়াবার হোম ডেলিভারি: উত্তরা-তুরাগ মাদক সিন্ডিকেটে অতিষ্ঠ নগরবাসী ◈ পেলেকে ছাড়িয়ে গে‌লেন, রেকর্ড ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকায় বিক্রি মেসির কার্ড

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৫, ১২:১৯ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৮০০ ডলারের নিচের পণ্যে শুল্ক বসাল ট্রাম্প, চাপে তেমু-শেয়েন, বিপাকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজার

এই শুল্ক ছাড় শুধু সস্তা পণ্য পৌঁছাতে সহায়তা করেনি, বরং খুলে দেয় বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বিশাল বাজার। ফলে মেটা, গুগল, ইউটিউব ও টিকটকের মতো মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা এই প্ল্যাটফর্মগুলোর বিজ্ঞাপন থেকে বিপুল আয় করতে থাকে। গত দুই বছরে, অ্যামাজনের পর তেমু ও শেয়েনই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

প্রায় এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র ৮০০ ডলারের কম মূল্যের বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক মওকুফের একটি নিয়ম চালু করে। সেই সুযোগে চীন থেকে উৎপাদিত সস্তা পণ্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের হাতে পৌঁছাতে শুরু করে শুল্কমুক্তভাবে। এরই ধারাবাহিকতায় জন্ম নেয় জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তেমু ও শেয়েন, যেগুলো অল্প দামে পণ্য বিক্রি করে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

তবে এই চিত্রে বড় পরিবর্তন আসছে। শুক্রবার (২ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে চীন ও হংকং থেকে আমদানিকৃত ৮০০ ডলারের নিচের পণ্যের ওপরেও শুল্ক আরোপ করা হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, তেমু ও শেয়েন-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হতে পারে, যা তাদের মূল ব্যবসা কাঠামোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তেমু জানিয়েছে, তারা আর চীন থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাবে না। পরিবর্তে, তারা স্থানীয় ‘ফুলফিলমেন্ট সেন্টার’ বা গুদামভিত্তিক বিতরণ পদ্ধতিতে সরে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কিছু পণ্যে আমদানি ফি যোগ করা হয়েছে, যার ফলে দাম ও ডেলিভারি খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

এদিকে, শেয়েন এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই শুল্কনীতি শুধু তেমু ও শেয়েন-এর মতো সস্তা পণ্যে নির্ভর কোম্পানিগুলোর ওপর নয়, বরং ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা মেটা, গুগল ও ইউটিউবের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও বড় আর্থিক ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়