শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কড়া নজরদারি: রিপোর্ট ◈ ইসলামপন্থি দলগুলো বিএনপি নাকি জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে? ◈ ইসরায়েল ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে জ্বলছে, চাইলো আন্তর্জাতিক সহায়তা ◈ শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেশজুড়ে, ১০টি পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ  আবহাওয়া অধিদপ্তরের  ◈ বাতিল হচ্ছে দেড়শ বছরের আইন: জুয়ার শাস্তি বাড়ছে ২ হাজার গুণ ◈ সৌদি আরবে ‘হুরুব’ আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ◈ চীন নারী ফুটবল দল পাঠাতে চায় বাংলা‌দে‌শে, পুরুষ ক্রিকেট দল‌কে চী‌নে আমন্ত্রণ ◈ জাপা‌নি ক্লা‌বের কা‌ছে হে‌রে  এএফ‌সি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে রোনাল‌দোর আল নাস‌রের বিদায় ◈ ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণামূলক প্রেম ও ধর্ষণের অভিযোগে চীনা অধ্যাপক বরখাস্ত

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২৫, ১১:২১ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সীমান্তের অধিবাসীদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কেবল প্রশিক্ষণ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা অবকাঠামো গড়ে তোলার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে সীমান্তের অধিবাসীদেরকে বিশেষ যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নয়াদিল্লি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মিরের শিক্ষা বিভাগ পেহেলগামে উগ্রবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এক জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সচেতনতা এবং প্রতিক্রিয়ামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে। এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেয়া হয়েছে, যখন পুরো উপত্যকা আবারো এক অস্থির সময় অতিক্রম করছে।

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামের বৈসরান উপত্যকায় ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিকে কাশ্মিরের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র কূটনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকেই টানা ছয় রাত ধরে দুই দেশের মধ্যে গুলি বিনিময় হচ্ছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এলওসি-সংলগ্ন গ্রামগুলোর সাধারণ জীবনযাপন আরো অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। তুলাওয়ারি গ্রামের পরিস্থিতি তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। যেখানে পাকিস্তানি বাঙ্কার থেকে স্কুলটির দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষার্থীদের রক্ষায়, স্থানীয় স্কুলে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণের আওতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা মহড়া, কামানের গোলা থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল এবং যুদ্ধকালীন করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেমন এই উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন, তেমনি স্থানীয় বাসিন্দারাও তাদের দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তারা জানান, অতীতে এই স্কুল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলেও কয়েক বছর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু পেহেলগাম হামলার পর সেই শান্তি আবারো ভেঙে পড়েছে। এখন যখন সংঘাতের আতঙ্ক ফিরে এসেছে, তখন নিরাপত্তা অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

তুলাওয়ারি গ্রামের শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন, গ্রামে মাত্র দু’টি কমিউনিটি বাঙ্কার রয়েছে, যা স্থানীয় জনসংখ্যার জন্য অত্যন্ত অপ্রতুল। শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পৃথক আশ্রয়স্থল নেই, যা বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কেবল প্রশিক্ষণ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা অবকাঠামো গড়ে তোলার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের আশা, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়