শিরোনাম
◈ রিজার্ভ বেড়ে ৩০. ৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ◈ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন ধর্মাবলম্বী যোগ দিলেন জামায়াতে ◈ কাঠগড়ায় যে কারনে ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে ধমক দিলেন তাঁর স্ত্রীর ◈ আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় মিললো স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মরদেহ ◈ এ‌শিয়া কাপে পাকিস্তানকে গু‌ড়ি‌য়ে দি‌লো ভারত, ম‌্যাচ জিত‌লো ৭ উই‌কে‌টে  ◈ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম মানব জ‌্যামাইকার অব‌লিক সেভিল ◈ পদ্মা সেতুতে সোমবার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় শুরু ◈ সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলমকে শোকজ ◈ বিশ্ববাসীর প্রতি ইসরাইলকে শাস্তি দিতে আহ্বান কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ◈ চলতি মাসেই বাংলাদেশ-মার্কিন শুল্ক চুক্তির আশা

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৫১ দুপুর
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ভারত ও চীনের একজোট হওয়া উচিত’! ট্রাম্পের শুল্কনীতি মোকাবিলায় দিল্লিকে হাত বাড়িয়ে দিল বেইজিং

আনন্দবাজার: আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, তারা কিছু চীনা পণ্যের উপরে আরও ৫০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপাচ্ছে। সব মিলিয়ে চীনা পণ্যে বসছে ১০৪ শতাংশ শুল্ক।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া শুল্কনীতির মোকাবিলা করতে ভারত এবং চিনের আরও কাছাকাছি আসা উচিত। সঙ্কটে হাতে হাত মিলিয়ে দুই দেশের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো! এমনই মনে করেন ভারতের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং।

ইউ জিং তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে ভারত এবং চীনের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই সম্পর্কই সব বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবে। অর্থাৎ, আমেরিকার শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। তাঁর কথায়, ‘‘দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের (ভারত এবং চীন) উচিত সমস্যা (ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক) কাটিয়ে ওঠার জন্য এক সঙ্গে দাঁড়ানো।’’ ইউ জিংয়ের দাবি, চীনের অর্থনীতি এমন একটি ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা বিশ্ববাণিজ্যে স্থিতিশীল বৃদ্ধিকেও সুনিশ্চিত করে। ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র মনে করেন, মার্কিন শুল্কের মুখে পড়ে দেশগুলি তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। বাণিজ্য বা শুল্কযুদ্ধে কেউ কখনও জয়ী হতে পারে না। সমস্ত দেশের উচিত বহুপাক্ষিকতাকে প্রাধান্য দেওয়া এবং একতরফা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা।

মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, তারা কিছু চীনা পণ্যের উপরে আরও ৫০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপাচ্ছে। সব মিলিয়ে চীনা পণ্যে বসছে ১০৪ শতাংশ শুল্ক। যা কার্যকর হবে বুধবার থেকেই। এই ঘোষণা প্রকাশ্যে আসতেই দুই দেশের সম্পর্কের উত্তাপ আরও বেড়েছে। জবাবে চীনও জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই লড়াইয়ে শেষ দেখে ছাড়বে! সেই আবহেই ইউ জিংয়ের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে পাশে চাইছে চীন।

অতীতেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লিকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বেইজিং। চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতে, গত বছর রাশিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের পর থেকে ভারত এবং চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। ভারত এবং চীনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে ‘হাতি’ এবং ‘ড্রাগন’-এর উপমা ব্যবহার করেছেন চীনের বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ড্রাগন এবং হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে।’’ অর্থাৎ দুই দেশ এক হলে আখেরে লাভ দু’জনেরই। চীন প্রশাসনের প্রস্তাব নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত মোদী সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়