শিরোনাম
◈ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছাড়ায় ব্যাপক সমালোচনা ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পুরনো বিরোধের নতুন বিপজ্জনক মুহূর্ত ◈ রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ভার‌তের ড্রোন হামলা, পিএসএলের ম্যাচ অনিশ্চিত ◈ বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসে সংকটের মুখে উন্নয়ন: বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ ◈ প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কার লিস্ট, সব জটিল হয়ে যাচ্ছে: ফখরুল ◈ কৌশলগত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর সেনাপ্রধানের গুরুত্বারোপ (ভিডিও) ◈ কার ফোনে বিমানবন্দর থেকে ছাড়া পেলেন আবদুল হামিদ? হান্নান মাসউদের পোস্ট ◈ আবদুল হামিদের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে না পারলে আমি চলে যাবো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ ‘বাংলাদেশে এখন হাসিনা নেই’, বিএসএফকে শাসালেন বাংলাদেশি (ভিডিও) ◈ জোড়াতালি দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব নয়: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪২ দুপুর
আপডেট : ০৫ মে, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রিনল্যান্ড দখল করে ছাড়বেনই ট্রাম্প! কী বললেন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী?

আনন্দবাজার: প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর ডেনমার্কের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত।

ফের গ্রিনল্যান্ড ‘দখলের’ কথা বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমার ধারণা এটা হবেই।” তবে সরাসরি গ্রিনল্যান্ড দখলের কথা বলেননি তিনি। বরং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই দ্বীপকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভোটে জয়ী হয় ‘ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্য-দক্ষিণপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টি। ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড সংক্রান্ত মন্তব্যের পরেই সমাজমাধ্যমে মুখ খুলেছেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেদে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, “অনেক হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সচিব মার্ক রুটকে পাশে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। সেখানেই গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান তিনি। মার্কের ভূমিকাও সেখানে ‘ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ’ হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের পুরনো অবস্থানে অনড় থেকে ট্রাম্প জানান, ‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থেই’ গ্রিনল্যান্ড নিয়ে তাঁর এই ভাবনা।

নিজের বক্তব্যে অবশ্য ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড সংক্রান্ত পরিকল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নেটোর সচিব। শুধু জানিয়েছেন, মেরু অঞ্চলে ক্রমশ প্রভাব বৃদ্ধি করছে চিন এবং রাশিয়া। একই সঙ্গে তিনি জানান, গ্রিনল্যান্ড সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি নেটোকে ‘টেনে আনতে’ চান না।

প্রথম দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্কের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। কয়েক মাস আগে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে আমেরিকা মনে করে, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অপরিহার্য।’’ পত্রপাঠ সেই দাবি খারিজ করেছিল ডেনমার্ক। কিন্তু এর পর সরাসরি বলপ্রয়োগের বার্তা আসে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দার তরফে।

‘পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, ট্রাম্পকে বলতে ভয় পাচ্ছেন’! যুদ্ধবিরতি নিয়ে জ়েলেনস্কির খোঁচা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি গ্রিনল্যান্ডে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। তার পরেই আমেরিকার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দাদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়