শরণার্থীবাহী একটি উড়োজাহাজ গত শনিবার ব্রাজিলে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই উড়োজাহাজের সকল শরণার্থীর হাত হাতকড়া পরানো ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ৮৮ জন শরাণার্থী, ১৬ জন মার্কিন নিরাপত্তাকর্মী এবং আট জন বিমানকর্মী ছিলেন। উড়োজাহাজটি বেলো হরাইজনতে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক গলযোগের কারণে সেটি মিনাস গেরাইসে অবতরণ করে। সেখানে ব্রাজিলের প্রশাসন দেখতে পায়, শরণার্থীদের হাতে হাতকড়া পরানো।
এ ঘটনায় সর্ব প্রথম সরব হন ব্রাজিলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী রিকার্ডো লেওয়ানডস্কি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাটি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে অবহিত করেন। এরপর প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে ওই বিমান থেকে সমস্ত শরণার্থীদের নামিয়ে দেশের বিমান বাহিনীর বিমানে সম্মানজনকভাবে শরণার্থীদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানো হয়।
গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর খড়্গহস্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের আটক করে দেশে পাঠাতে শুরু করে ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসন দাবি করেছে, তারা ২০১৭ সালের আইন মেনে এই ডিপোর্টেশনের কাজ করঝে। এর সঙ্গে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার কোনো সম্পর্ক নেই।
২০১৭ সালে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থীবিষয়ক একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। এর আগেও ব্রাজিলের শরাণার্থীদের ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবারই প্রথম হাতকড়া পরিয়ে শরণার্থী পাঠানোর অভিযোগ উঠল।
গুরুতর এই অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করছে। তারা বলছে, শরণার্থীদের সঙ্গে কখনোই অপরাধীদের মতো আচরণ করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রর প্রশাসনের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।