শিরোনাম
◈ আকবরের সেঞ্চুরি কা‌জে আস‌লো না, দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকার কা‌ছে ১০ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলা‌দেশ   ◈ শিক্ষার্থীদের নতুন এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ স্ক্যাবিস থেকে বাঁচার উপায়, সতর্ক হন এখনই! (ভিডিও) ◈ ঢাবি ছাত্র সাম্যকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ ◈ রাজনীতির পালাবদলে বিপাকে তারকারা: গ্রেফতার, মামলায় জর্জরিত অর্ধশতাধিক শিল্পী ◈ নানা বৈষম্যে চাকরি ছাড়ছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা! ◈ টিউলিপকে ফেরাতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি: দুদক চেয়ারম্যান ◈ সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিকের মৃত্যুর পর বিস্ময়কর দাবি ◈ আওয়ামী লীগের 'কর্মকাণ্ড', ব্যাখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ◈ দুদকের তলবে সাড়া দেননি টিউলিপ সিদ্দিক

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্প-মোদির ফোনালাপ, কী কথা হলো দুই নেতার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুই দেশের নেতার মধ্যে এই ফোনালাপ হয়। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন সূত্রগুলো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে নিশ্চিত করেছে।

ফোনালাপের পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমি আনন্দিত। তার ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমরা পারস্পরিক লাভজনক ও বিশ্বাসযোগ্য অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।

এর আগে গত সপ্তাহে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনে বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেন দুই দেশের কূটনীতিকেরা। এ বিষয়ে অবগত ভারতীয় দুটি সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য জানান।

চীনকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। পাশাপাশি নিজেদের দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষ কর্মী ভিসা পাওয়া সহজ করতে চায় ভারত। দুই নেতার বৈঠক হলে সেখানে এ দুই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরায় যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া ভারতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারতে রপ্তানি করা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা রয়েছে। পাল্টায় ভারতের পণ্যেও শুল্ক আরোপের পক্ষে অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া ক্ষমতায় বসার বহু আগে থেকেই অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তিনি। জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বাতিল থেকে শুরু করে সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তার নেয়া পদক্ষেপের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ট্রাম্পের এমন অভিবাসীবিরোধী পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত হাজার হাজার ভারতীয় নাগরিক বিতাড়িত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে গেছেন।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সব ভারতীয় নাগরিককে শনাক্ত করতে এবং ফিরিয়ে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত সরকার। নতুন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহযোগিতা ও বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে নয়াদিল্লির আগ্রহের প্রাথমিক সংকেত হিসেবেই একে দেখা হচ্ছে।

গত ২২ জানুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী যেসব ভারতীয় দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, তাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া এখনো চলছে এবং এখনো কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, একটি দেশের সরকার হিসেবে আমরা অবশ্যই বৈধ অভিবাসনের পক্ষে। কারণ আমরা বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে বিশ্বাস করি। আমরা চাই ভারতীয় প্রতিভা ও দক্ষতা সম্পন্ন মানুষেরা বৈশ্বিক পর্যায়ে সর্বাধিক সুযোগ পাক। একই সঙ্গে আমরা অবৈধ অভিবাসন ও অবৈধ ভ্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে আছি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়