শিরোনাম
◈ এবার আনন্দবাজারে ওবায়দুল কাদেরের সাক্ষাৎকার, জানালেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা (ভিডিও) ◈ নির্বাচনের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো পুলিশ: প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা ◈ "পাষন্ড স্বামীর কান্ড" ঈদের দিন স্ত্রী কে জবাই করে হত্যা ◈ দ্রুতগতিতে টার্ন নিতে গিয়ে যাত্রীবাহী কোচ খাদে পড়ে ৫৫ যাত্রী আহত ◈ সৌদি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানা গেলো ২০২৬ সালে কবে রমজান ও ঈদ ◈ ‌ক্রিকেটার‌দের পাওনা টাকা না দিয়ে দেশ ছাড়া ক‌রে‌ছে ওমান ক্রিকেট বোর্ড ◈ ভারতে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল পাকিস্তান'- জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়ে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী ◈ ‌টি‌কি‌টের দা‌বি‌তে বাফুফে ভবনের সামনেই ফুটবল আলট্রাসের ঈদ ◈ নেত্রীর সঙ্গে দেখা আমাদের প্রেরণা দেয়’—ঈদ রাতে ফিরোজায় বিএনপি নেতারা ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব? কী বলছে নির্বাচন কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২৫, ১১:৫৩ রাত
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভুল খাবার মস্তিষ্ককে ধ্বংস করছে—সতর্ক হন আজই

আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু শরীর নয়, সরাসরি প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের উপরেও। সুস্থ চিন্তা, ভালো মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক স্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে একটি সুস্থ ও সজাগ মস্তিষ্ক। কিন্তু অনেকেই জানেন না, আমরা প্রতিদিন যে কিছু খাবার খেয়ে থাকি, সেগুলোর কিছু মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো ব্রেইনের জন্য ক্ষতিকর: 

চিনি: চিনি কে না খায়। মিষ্টি স্বাদের প্রায় সব খাবার তৈরিতেই চিনি ব্যবহার করা হয়। অন্তত প্রতিদিনের চা কিংবা কফির সঙ্গে তো চিনি খাওয়া হয়েই থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই চিনি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে? পরিমিত মাত্রায় না খাওয়া হলে এটি শরীরের জন্য নানা ক্ষতি ডেকে আনে। এটি কেবল রক্তে শর্করার মাত্রাই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে এতে থাকা ফ্রুকটোজ মানুষের বুদ্ধির গতিকে মন্থর করে দেয়। যার ফলে কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি।

অতিরিক্ত লবণ: সুস্থ থাকার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার লবণ শরীরের প্রয়োজন হয়। তবে তার অতিরিক্ত খেলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। আমাদের খাবারের সঙ্গে যে লবণ খাওয়া হয় তাকে থাকে প্রচুর সোডিয়াম। এই সোডিয়াম অতিরিক্ত গ্রহণ করা হলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন লবণ খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। দৈনিক আড়াই গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

পোড়া খাবার: খাবারের কত রকমফের! একেক খাবার একেক ভাবে তৈরি করা হয়। কাবাব জাতীয় ঝলসানো যে খাবার রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খান তা কিন্তু মস্তিষ্কের জন্য মোটেও উপকারী নয়। এসব খাবার যতই জনপ্রিয় হোক না কেন, এগুলো মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। কারণ এ ধরনের খাবারে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্কের বড়সড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ভাজা খাবার: মুচমুচে এবং ডিপ ফ্রাই খাবার লোভনীয় হতে পারে, তবে এগুলো অস্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটে পূর্ণ থাকে। এই ফ্যাট প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণ হতে পারে, যা উভয়ই মস্তিষ্কের কোষের জন্য ক্ষতিকারক। ভাজা খাবার খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে যায় এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির পায়।

কোল্ড ড্রিংকস: কোল্ড ড্রিংকস থেকে শুরু করে এনার্জি ড্রিংক পর্যন্ত, চিনিযুক্ত পানীয়গুলো প্রধান উদ্বেগের বিষয়। এই পানীয়গুলো রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়, যার ফলে প্রদাহ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা উভয়ই মস্তিষ্কের ক্ষমতা হ্রাস এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলো পুষ্টিকর খাবার থেকে আপনাকে দূরে রাখে। যা মস্তিষ্ককে প্রয়োজনীয় জ্বালানি থেকে বঞ্চিত করে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অতিরিক্ত সোডিয়াম, কৃত্রিম সংযোজন এবং প্রিজারভেটিভে ভরপুর এ ধরনের খাবার মস্তিষ্কের জন্য খুব কম পুষ্টি দেয়। অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ভাজা খাবারে পাওয়া ট্রান্স ফ্যাট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ব্যাহত করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কৃত্রিম উপাদানগুলো মস্তিষ্কের রসায়নের সূক্ষ্ম ভারসাম্যকেও ব্যাহত করে।

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট: সাদা রুটি, পাস্তা এবং পেস্ট্রির কথা ভাবুন। এই পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটগুলো দ্রুত গ্লুকোজে ভেঙে যায়, যার ফলে চিনিযুক্ত পানীয়ের মতো রক্তে শর্করার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যদিও এগুলো সাময়িকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে, তবে পরবর্তীতে শক্তির ক্র্যাশ আপনাকে ক্লান্ত করে দিতে পারে। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ধীরে ধীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

কৃত্রিম মিষ্টি: এগুলোকে চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে বাজারজাত করা হয়। তবে কৃত্রিম মিষ্টি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ততটা উপকারী নাও হতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কৃত্রিম মিষ্টি অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ব্যাহত করতে পারে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও এ ধরনের খাবারের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়, যদিও এক্ষেত্রে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

প্রক্রিয়াজাত মাংস: হট ডগ, সসেজের মতো খাবারে উচ্চ মাত্রায় সোডিয়াম, নাইট্রেট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই পদার্থগুলো প্রদাহ এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা উভয়ই মস্তিস্কের অবক্ষয় এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ। পাতলা, অপ্রক্রিয়াজাত প্রোটিন উৎস বেছে নেওয়া আপনার মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।

কী করবেন?
স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে এখনই। প্যাকেটজাত ও অতিরিক্ত প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে তৈরি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন, আপনি যা খান, সেটাই আপনার চিন্তা ও স্মৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য খাবারে আনুন সচেতন পরিবর্তন। উৎস: নিউজ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়