‘হ্যালো বন্ধুরা, আই এম রিপন ভিডিও’—ফেসবুকে কয়েক বছর আগে এই ডায়লগ শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। নকল হাসি, ভন্ডামি আর ফিল্টার ভরা কনটেন্টের ভিড়ে একেবারে সাধারণ, সরল এক তরুণ হুট করেই সবার প্রিয় হয়ে উঠলেন। তিনি রিপন মিয়া, যাকে আমরা সবাই চিনি রিপন ভিডিও নামে।
আমার একটা রিপন মিয়ার মতো জীবন চাই’—শহরে যান্ত্রিকতায় ক্লান্ত অনেকেই কি এমন ভাবছেন? আমরা জানি না। তবে যে জীবন ফরিংয়ের, মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা। শিক্ষিত মধ্যবিত্তে এমন আফসোস প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন কোন জীবনের দেখা পেলেন? যে জীবনে চিন্তা কম টেনশন নেই। আর আছে অফুরন্ত সুখ? রিপনের মধ্যে এই জীবনটা আছে। এমনটা বলাই যায়।
বই এবং বউ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারলে অনেক জ্ঞানী হওয়া হওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন ব্যতিক্রমধর্মী কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বই হাতে এক ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি এ মন্তব্য জানান।
এই মন্তব্যটি মুহূর্তেই ফেসবুকে হাস্যরস ও আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। কেউ এটিকে জীবনের বাস্তবতা হিসেবে দেখছেন।
রিপনের পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, জীবনে অনেক পড়তে হইবো-হাহা এটাই বাস্তব।
আরেকজন লিখেছেন, খুব সুন্দর কথা বলছেন ভাই। দুইটা জিনিস কাজের।
রিপনের এই ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো রসিকতা করেই বলা হয়েছে। তবে পাঠক রিপন মিয়াকে এক ইতিবাচক কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে দেখেন।