নুসরাত ফারিয়াকে আটকের জেরে ফুঁসছে দেশের গোটা শিল্পী সমাজ। তারা এটাকে শিল্পীদের অহেতুক হয়রানী হিসেবে দেখছেন। শিল্পীরা যে যার জায়গা থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে ভাল খবর, ২০ মে জামিন পেয়েছেন ফারিয়া।
তবে এই ঘটনার মাধ্যমে ফারিয়া তথা শিল্পীসমাজকে যে হয়রানিতে ফেলা হলো, সেটা মানতে পারছেন না নায়ক জায়েদ খান। এসব অহেতুক হয়রানি বন্ধ করতে তিনি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই তিনি আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর আর দেশে ফেরেননি। সেখান থেকেই এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারিয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই নায়ক।
জায়েদের মতে, যে শিল্পীরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। কোথাকার কোন জেলার এক ব্যক্তি এসে একজন নায়ক কিংবা নায়িকার বিরুদ্ধে মামলা করল, অমনি মামলা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে! এটা একেবারে উদ্দেশ্যমূলক।
তিনি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার। তাকে আমি স্যার সম্বোধন করি। তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, শিল্পীদের যেন কোনো হয়রানি না করা হয় এ বিষয়ে আপনি দেখবেন স্যার। কেননা আপনি একজন শিল্পমনা মানুষ, আপনি জানেন প্রকৃত শিল্পীরা কখনো অন্যায় করে না। অহেতুক যেন আর একটা শিল্পীকেও হয়রানি না করা হয়।’
এরপর তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ফারুকী ভাই, আপনি নিজে একজন শিল্পী মানুষ। শিল্পের সঙ্গেই আপনার বসবাস, তাই আপনি বিষয়টা খুব ভালো করে বোঝেন।’
এসময় জায়েদ ফারিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ফারিয়া আন্দোলনের সময় কানাডায় ছিল, আমার সঙ্গে পারফর্ম করেছে। আমাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। আপনি তো জানেন আমি আন্দোলনের বহু আগে থেকে আমেরিকায়। কিভাবে এসব মামলা হয়, আর এসবে গ্রেপ্তারও করা হয়?’
জায়েদ মনে করেন, যেসব শিল্পী সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় তাদেরই টার্গেট করা হচ্ছে।
বলা প্রয়োজন, থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রবিবার (১৮ মে) নায়িকা-গায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার দেখায় ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানা যায়, নায়িকার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, ঐ মামলায় নুসরাত ফারিয়া ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছে জায়েদ খান, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনাসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীকে।