ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে অবস্থান নেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। তবে পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এসময় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ, টিয়ারগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও আদায় না হওয়া তিন দফা দাবি থেকে সরে এসে এবার পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে সরকারের গঠন করা কমিটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ এসব দাবি তুলে ধরেন।
জুবায়ের আহমেদ বলেন, আজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে তাকে বিষয়টির জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম। একই সঙ্গে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।
জুবায়ের আহমেদ আরও বলেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত তিন দফা দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে এখানে এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না।
এছাড়া আন্দোলনে অংশ নেওয়া রোকনের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বুয়েটের এ শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশের হামলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎস: জাগোনিউজ24