ডিএমপি জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স-১৯৭৬ (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় নিষিদ্ধ এলাকায় সভা-সমাবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও শিক্ষার্থীরা তা অমান্য করে শাহবাগে সমাবেশ করে।
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পুলিশি ব্যারিকেড অমান্য করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের মধ্যে আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক শাহবাগ মোড় দখল করে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করতে থাকে।
তিনি বলেন, জনসাধারণের চলাচলকে স্বাভাবিক করতে শাহবাগ মোড়ে সমবেত শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বারংবার অনুরোধ করা হয়। তারা রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ অব্যাহত রাখে এবং দুপুর দেড়টার দিকে বেআইনি জনতাবদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা করে ডিবিবিএল ফোয়ারার সম্মুখে অবস্থান নেয়।
একপর্যায়ে তারা যমুনায় প্রবেশে চেষ্টা করলে অবৈধ সমাবেশকে পুলিশ আইনগতভাবে ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল জনতার মারমুখি আচরণ এবং তাদের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলের আঘাতে ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রেজোয়ানুল ইসলাম (৩৭), এসআই তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই ফরহাদ আলী (২৯), কনস্টেবল আদিব (২২), কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম (২০) ও কনস্টেবল শ্রাবণ (২০) আহত হন। তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে প্রেস বিজ্ঞপ্তিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বারংবার অনুরোধ করা হয়েছে। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এরূপ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।