মো. আদনান হোসেন, ধামরাই: পৌষ বিদায় নিচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সমাপনী দিনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব পৌষ সংক্রান্তি।
একই দিনে ঢাকার ধামরাইয়ে মাতবে সাকরাইন উৎসবের মেলায়। চারপাশ ভোরের হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা। এর মাঝে এক টুকরো রঙিন আকাশ। আর এই রঙিন আকাশে শত শত ঘুড়ি উড়ছে। সাকালের আলো ফোটার সাথে সাথেই প্রতিটি বাসার ছাদে উঠে জড়ো হতে থাকে অনেক মানুষ।
বাঙালির সংস্কৃতিতে বারো মাসে তের পার্বণের একটি পার্বণ হলো পৌষ সংক্রান্তি। পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালির সংস্কৃতি তে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। তার মধ্যে পিঠা খাওয়া, ঘুড়ি উড়ানো, ও বিভিন্ন মেলা।
ঢাকার ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় সাকরাইন মেলা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো, মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি ও বিভিন্ন রকমের খাবার বিক্রি এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ।
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে ধামরাইয়ের ১১টি স্থানে ৩ দিনব্যাপী সংক্রান্তি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বুড়া বুড়ির মেলা শুরু হয়েছে।
এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো এবং হরেক রকমের খাবার। মেলায় খই, বিন্নি, বাতাসা, চিনির তৈরীর খেলনা, ভাজা পেঁয়াজো,চানাচুর, বাদাম, মাটির তৈজষ পত্র,বাঁশ- বেতের তৈজষ পত্র, বাচ্চাদের খেলনার দোকানসহ চটপটির ষ্টল গুলোতে প্রচণ্ড ভীড় দেখা যায়। সকল ধর্মের মানুষ এই মেলায় ভীড় করে গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় মাটির তৈরী জিনিস পত্র ক্রয় করার জন্য।
আজও মাটির তৈরি জিনিস এবং লোহার তৈরি দা, বটি সহ প্রয়োজনীয় গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের দোকানে ভীড় জমিয়ে ছিল সব বয়সের নারীরা। ধর্মীয় গন্ডির মধ্যে পূজা উৎসব হলেও মেলায় সার্বজনিনতা ফুটে উঠেছে।শিশু কিশোরদের জন্য আনন্দের দিন এটি, সকালে ঘুড়ি উড়ানো, হরেক রকমের খাবার আর খেলনা কেনার বায়নাতো রয়েছেই।
ধামরাইয়ে কোথাও আজ সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোথাও বিকেলে, কিছু এলাকায় আগামীকাল এভাবে আগামী তিনদিন বিভিন্ন সময়ে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সম্পাদনা : অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/জেএ