✖

মো. জালাল উদ্দিন, মৌলভীবাজার(জুড়ী) : জেলার জুড়ীতে সাংবাদিকদের বহন করা চলন্ত একটি মাইক্রোবাসের (এক্স নোহা) ইঞ্জিনে আগুন লেগে গাড়িটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন গাড়ির ভেতরে থাকা সবাই।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিক সিংহ বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। গাড়ীটির অনেকাংশ পুড়ে গেছে, তবে হঠাৎ গাড়িতে আগুন দেখামাত্র খুব দ্রুত সকলেই গাড়ি ভিতর থেকে নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িতে থাকা দৈনিক কালের কন্ঠের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ও বাংলা ট্রিবিউন মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, দৈনিক কালের কন্ঠের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তার স্ত্রী সন্তানসহ গাড়িটিতে ছিলেন।

অন্য আরেকটি গাড়িতে ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের সিলেট ব্যুরো অফিসের স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক যুগান্তর এর সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব হোসেন রিপন। আগুন লেগে গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হলেও প্রাণে বেঁচে যান তারা।

তিনি আরও বলেন, দু'টি গাড়ীতে করে জুড়ীর লাঠিটিলায় কমলা বাগান ঘুরতে আসেন। ঘুরাঘুরি শেষ করে শ্রীমঙ্গলে ফেরার পথে জুড়ী- কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিক সিংহ বাজার এলাকায় পৌঁছালে, চলন্ত এক্স নোহা গাড়িটির ইঞ্জিনে বিকট শব্দ করে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথে গাড়ির চালকসহ গাড়ির ভিতরে থাকা সবাই দ্রুত নেমে পড়েন। মুহূর্তেই গাড়িটিতে দাউ দাউ করে আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

স্থানীয় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গাড়িটির আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করে। পরে শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন ও অজয় দাসসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আরো আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে এসে গাড়িটির আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। মুহূর্তের মধ্যে গাড়ির আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় তারা অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে, দ্রুত গাড়িটির আগুন নেভাতে পাশের খাদের ধাক্কা দিতে-দিতে সড়কের পাশে পানি জমাট জমিতে গাড়ীটি ফেলে দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

খবর পেয়ে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। গাড়িতে আগুন লাগার পর সড়কের উভয় পাশে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক যানজট লেগে যায়। এতে বেশ কিছু গাড়িসহ যাত্রীরা আটকে পড়ে।

পরে খবর পেয়ে জুড়ী থানার এসআই খাইরুল ইসলাম বাদলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

গাড়িটি উদ্ধারকারী শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন ও অজয় দাস বলেন, গাড়িতে আগুন লাগার সাথে সাথে এলাকার লোকজন ও আমরা প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু মুহূর্তেই আগুন গাড়িটিতে ছড়িয়ে পড়লে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পাশের খাদের পানিতে ফেলে পানি ও কাদামাটি আগুন নেভাই। পরে সকলের সহায়তায় আগুন নেভানোসহ গাড়িটিকে উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় আশেপাশের এলাকা লোকজন সহ শ্রমিক নেতারা আগুন নেভানোর জন্য যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গাড়িটি তাদের প্রচেষ্টায়ই পানি থেকে উপরে তুলা হয়। তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

জেএ/জেএ