জামাল হোসেন খোকন : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় চলমান শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশা, হিমেল বাতাস ও উচ্চ আর্দ্রতার কারণে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। বুধবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখন আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারদিক। ফলে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক স্থানে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা সবচেয়ে বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
তীব্র শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ মৌসুমে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ, অপর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতা এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রধান কারণ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, “বুধবার চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন এবং চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।”
তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মাসের শেষ দিকে কিংবা নতুন বছরের শুরুতে চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।