মো:আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে: ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরশহরের কালিয়াগার এলাকায় ছয় মাসের এক নবজাতককে মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাড়ীর মালিক সুফিয়া বেগম বিরুদ্ধে।
আজ রোববার (২৪আগষ্ট) ভোর রাতে পৌরশহরের কালিয়াগার জামে মসজিদের পূর্ব পাশে মোঃ ফারুকের বাড়ীতে এমন ঘটনাটি ঘটে। ফারুকের স্ত্রী সুফিয়া বেগম ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নাসিংয়ের কাজ করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার দিনগত রাতে সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া ছয় মাসের একটি নবজাতক শিশুকে সুফিয়া বেগমের বাড়ীতে নিয়ে মাটি চাপা দেয়। এই ঘটনা জানতে পেরে মহল্লার উৎক জনতা সুফিয়ার বাড়ীতে ভিড় জমায়। পরে কৌশলে সুফিয়া বেগম বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর ধারণা সুফিয়া বেগম যে হেতু হাসপাতালে নাসিং এর কাজ করে বাচ্চাটা টাকার বিনিনিয়ে এমন কাজ করছে।
এই বিষয়ে সুফিয়া বেগমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া রুপা আক্তার বলেন, আজ ভোর রাতে আমাদের বাড়ীর পূর্ব পাশে একটি ছয় মাসের নবজাতক শিশু পড়ে ছিল।পরে বাড়ীর মালিক সুফিয়া বেগম সেই নবজাতক শিশুটিকে বাড়ীতে কলাগাছের পাশে মাটি চাপা দেয়।
এই বিষয়ে কালিয়াগার এলাকার মোঃ হাশেস আলী নামে এক ব্যাক্তি বলেন, খবর পেয়ে সুফিয়া বেগমের বাড়ীতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি কলাগাছের পাশে নবজাতক শিশুটিকে মাটি চাপা দিয়েছে সুফিয়া। পরে তার কাছ থেকে কার বাচ্চা জানতে চাইলে তিনি আমাদের কোন কিছু না জানিয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে চলে যায়।
এই বিষয়ে সুফিয়া বেগমের এর দেবর মশিউর রহমান সেন্টু বলেন, নবজাতক বাচ্চাটিকে আমার ভাবি সুফিয়া বেগম কবর দিয়েছে। আপনারা সঠিক যেটা সেটা লেখেন।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা এইচ এম হাসানকে জানালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নবজাতক শিশুটি জীবিত থাকলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম। যেহেতু নবজাতক শিশুটি জীবিত নেয়। তাহলে থানা পুলিশকে জানাতে পারেন।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নবজাতক শিশুটিকে কবর দেওয়া হয়েছে। আমাদের আর কি করার,কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।