এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ও মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলবর্তী বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী শাসন না করে এবং মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহার করে বাঁধ নির্মাণ করায় শুরু থেকেই ধস দেখা দেয়। সামান্য ঢেউয়ের আঘাতেই বাঁধ ভেঙে গিয়ে ধস সৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর পর অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধের বিভিন্ন অংশ একের পর এক ভেঙে যাচ্ছে। এতে আশপাশের হাজারো পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সাউথখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল আলম লিটন হাওলাদার বলেন, “পুরনো বেড়িবাঁধটি সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা একেবারেই টেকসই হয়নি। নিম্নমানের কাজ হয়েছে। নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ভাঙন হচ্ছে। দ্রুত নদী শাসন না করলে এই বাঁধ টিকবে না।”
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, “গত বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালে ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জাইকার অর্থায়নে সাত কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ৩০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাজেট পেলে সাউথখালী ও বগী এলাকায় নদী শাসনসহ ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে।”