হাবিবুর রহমান, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলায় বহুল আলোচিত-সমালোচিত আওয়ামী যুবলীগ নেতা বুলবুল মীর অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। হত্যা থেকে শুরু করে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, বিস্ফোরক ও জমি দখল—এমনকি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ডাকাতির মতো সংবেদনশীল মামলারও আসামি তিনি।
মোট ১৯টি মামলার অভিযুক্ত বুলবুলকে শুক্রবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ধুবাউড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে শনিবার সকালে গ্রেফতার করে পূর্বধলা থানা ও জেলা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার দুপুরে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নূরুল আলম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হোগলা ইউনিয়নজুড়ে বুলবুল মীরের দাপট ছিল প্রবল। আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতির পরিচয়কে ব্যবহার করে তিনি বছরের পর বছর মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানামুখী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করতেন না।
হোগলা ইউপি সদস্য মো. দুলাল খান বলেন, “বুলবুলের অত্যাচারে ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। গ্রামবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছিল।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বলেন, “সে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মাদক থেকে শুরু করে এমন কোনো অপকর্ম নেই যেখানে সে জড়িত নয়। যুবলীগের পরিচয় ব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।”
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, “বুলবুল মীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতিসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।”