হাবিবুর রহমান সোহেল, কক্সবাজার: পর্যটন নগরী কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে দুর্জয় চৌধুরী (২৭) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুর্জয় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে এবং চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন থানায় অভিযোগ করলে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতের কোনো একসময় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পুলিশের। তবে মরদেহ উদ্ধারকালে তার হাত লোহার রডে রাখা ও দাঁড়িয়ে থাকার ভঙ্গি দেখে মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে শত শত পোস্টে পুলিশের দায়িত্বহীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—কেন দুর্জয়কে থানার মূল হাজতে না রেখে রিমান্ড কক্ষে রাখা হয়েছিল? আইনজীবীদের দাবি, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো আটক ব্যক্তিকে রিমান্ড কক্ষে রাখা নিয়মবহির্ভূত।
স্থানীয়রা ও নিহতের স্বজনেরা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ঘটনার পেছনে গোপনীয়তা থাকতে পারে; এজন্য থানার হাজত কক্ষ ও গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।