বিদেশ থেকে দেশে ফেরা এক প্রবাসীর মালামাল ডাকাতির ঘটনায় চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাইকৃত স্বর্ণালংকার, মোবাইলসহ মালামালের একটি অংশ। এই চক্রটি প্রবাসীদের যাত্রা ও মালামালের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করত, এরপর গাড়ি আটকে ডাকাতি করত।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক প্রবাসীর মালামাল লুটের ঘটনায় হালিশহর থানা পুলিশের অভিযানে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া।
পুলিশ জানায়, ২১ জুলাই সকালে দুবাইফেরত মো. সামসু উদ্দিন বিমানবন্দর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে অলংকার যাচ্ছিলেন। পথে ডগিরখাল ব্রিজের কাছে একটি কালো মাইক্রোবাস রিকশাটিকে চাপা দিয়ে থামায়। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুর্বৃত্তরা তার হাতব্যাগ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল, লাগেজ ও নগদ টাকা লুট করে পালায়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে হালিশহর থানা মামলা নেয় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বহদ্দারহাট এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে—মনির উদ্দিন, সৈয়দ মজিবুল হক, আলীম হাওলাদার জাবেদ, হাসান, রুবেল, সুমন ও ইমনকে।
আটকব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রবাসী যাত্রীদের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে সংগ্রহ করে সৈয়দ মজিবুল হক। এরপর বাকি সদস্যরা মাইক্রোবাসে করে অনুসরণ করে ডাকাতি চালাত। চাঁন্দগাঁওয়ের একটি দোকানে বিক্রি করা লুটের স্বর্ণালঙ্কার থেকে ৫ ভরি ১১ আনা এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় এখনো পলাতক রয়েছে চালক সাদ্দাম ও রাসেল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতারদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। উৎস: সময়নিউজটিভি।