শিরোনাম
◈ দেশে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, ব্যাংক খাতের ৮০% অর্থ নিয়ে গেছে: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক পাঁচ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার ◈ ওজন কমাতে র‍্যাব কর্মকর্তাকে যে উপদেশ দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বড় ইভেন্টে ঝুঁকি, ভারতের সেই মাঠ থেকে সরে যেতে পারে বিশ্বকাপ ◈ মানব বীর্য প্লাজমার প্রতিক্রিয়ায় লিথুয়ানিয়ান নারীর গর্ভধারণে ব্যর্থতা! ◈ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের খোঁজ নিতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা ◈ নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি: কিছু জেলায় আবারও বন্যার শঙ্কা ◈ বিমানবন্দর থেকেই আরও ৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া ◈ গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে ৫ জন গ্রেপ্তার ◈ মুরাদনগরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দর্শক গেলারিতে বাস, নিহত ১ আহত ৪

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৫, ০৩:৪২ দুপুর
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিডিউল বিপর্যয়ে রেল: যন্ত্রাংশ সংকটে বিকল ১৮ ইঞ্জিন

এম. আর. আমিন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম রেলওয়ের যন্ত্রাংশ সংকট চরমে পৌঁছেছে। দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রাংশ সরবরাহ না থাকায় বাড়ছে ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি, বিশেষত ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ট্রেন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এতে নিয়মিত সিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে রেলওয়ে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

২০২৪ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮টি ইঞ্জিন চলন্ত অবস্থায় বিকল হয়েছে। ইঞ্জিনের ব্রেক সিস্টেম, বিয়ারিং, ফ্যান বেল্ট, এয়ার কম্প্রেসরসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অভাবেই এসব ঘটনা ঘটেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সময়মতো সরবরাহ না পাওয়ায় মেরামতের কাজও বিলম্বিত হচ্ছে।

রেল সূত্র জানায়, প্রতিদিন পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হলেও ১৩৫টির মধ্যে গড়ে ৭৫-৮০টি সার্ভিসের উপযোগী রাখা সম্ভব হচ্ছে। বাকিগুলো বিকল অবস্থায় পড়ে আছে বা জোড়াতালিতে চলছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে জুন মাসেই একাধিকবার ওয়াটার পাইপ লিক, ওভারহিট, জেনারেটর ব্লোয়ার মোটর জ্বলা, কাপ্লিং ভাঙা ও লোড মিটার নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনায় ইঞ্জিন বিকল হয়। এসব ক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ অভাবে একাধিক ইঞ্জিন দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে।

এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কাজী মো. সেলিম বলেন, “চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করতে হচ্ছে। এতে সমস্যা বারবার ফিরে আসছে।”

রেলের সরঞ্জাম বিভাগের প্রধান মো. বেলাল সরকার বলেন, “গত অর্থবছরে বরাদ্দ কম ছিল, এবার ৪০০ কোটি টাকার বিপরীতে মাত্র ২১০ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৬০ কোটি টাকা বকেয়াও রয়েছে। তবে বিদেশি যন্ত্রাংশের জন্য এলসি করা হয়েছে, অক্টোবর নাগাদ কিছু যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।”

তিনি আরও বলেন, শতভাগ ই-জিপি (EGP) টেন্ডার বাধ্যতামূলক করায় অনেক সময় অপারগ অংশগ্রহণকারীদের কারণে রিটেন্ডার করতে হচ্ছে, এতে বিলম্ব হচ্ছে। জরুরি যন্ত্রাংশ কেনায় এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা উচিত।

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক, লোকো ইন্সপেক্টর অ্যাডভোকেট এমআর মঞ্জু বলেন, “বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৫৫-৬০টি ইঞ্জিন অচল থাকে। এসব ইঞ্জিন দ্রুত মেরামত করা না গেলে রেল সেবা আরও বিপর্যস্ত হবে। এখনও কিছু দোসর রেলকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”

চট্টগ্রাম রেলওয়ের যাত্রী কল্যাণ সংগঠনগুলোর নেতারাও দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রীসেবার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়