শিরোনাম
◈ নাটোরে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬ ◈ ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনেক বিষয়ে একমত, দ্বিমতও আছে ◈ টানা ১০ দিন ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় ক্ষোভ, শিল্পীদের দায়িত্বশীলতার আহ্বান ফারুকীর ◈ টিফিন দিতে পারিনি বলেই হয়তো বেঁচে গেছে আমার ছেলেটা ◈ নেইমার চতুর্থবার বাবা হ‌লেন, বিশেষ উপহার পাঠালো পিএসজি ◈ পি‌সি‌বি সভাপ‌তির সঙ্গে সিরিজ বাড়ানো নিয়ে কথা বলবেন বি‌সি‌বি সভপ‌তি বুলবুল ◈ লিও‌নেল মেসি কি সর্বকালের সেরা ফ্রি কিক টেকার ◈ অশ্রুতে ভাসছে উত্তরার আকাশ-বাতাস: নিহত বেড়ে ৩২, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ◈ মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসায় ঢাকায় পৌঁছেছেন সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২৫, ১১:৫২ রাত
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো শিক্ষিকা মাসুকার

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারান ওই স্কুলের আরেক শিক্ষিকা মাসুকা বেগম (৩৭)। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বাদ আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুরে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মাসুকা বেগম জেলা সদরের চিলোকুট গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর মেয়ে। মাসুকা বেগমের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মাসুকা ছিলেন সবার ছোট। মা মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। শিক্ষাজীবন শেষ করে প্রায় আট বছর আগে মাসুকা রাজধানীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিন বছর আগে সেখান থেকে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদান করেন তিনি। সেখানে প্রাইমারি শাখার বাংলা ভার্সনে ইরেজি শিক্ষক ছিলেন মাসুকা।

স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে মাসুকা বেগম ক্লাস নিচ্ছিলেন। এসময় বিকট শব্দে একটি যুদ্ধবিমান আঁচড়ে পড়ে। এতে তিনিসহ তার ক্লাসরুমের অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন। এসময় জীবনবাজি রেখে ক্লাসে থাকা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন মাসুকা বেগম। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। রাতেই ঢাকা বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।

মারা যাওয়ার ঠিক আগে পাশের বেডে থাকা আরেক সহকর্মীকে বলে যান, তার মরদেহ যেন সোহাগপুর বোনের বাড়িতে দাফন করা হয়। সেই ওসিয়ত অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর গ্রামে তার বোনের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় মরদেহ। এসময় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির অবতারণা হয়। বাদ আসর স্থানীয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।

মাসুকা বেগমের একমাত্র ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‌‘আমি যখন মাসুকার বড় বোনকে বিয়ে করি, তখন মাসুকার বয়স ছিল মাত্র ৫-৬ বছর। আমি তাকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতাম। কখনো কল্পনাও করিনি, এমনভাবে তাকে চিরবিদায় জানাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাসুকাকে বিয়ে দিতে পারিনি। একমাত্র ভগ্নিপতি হিসেবে তা আমার ব্যর্থতা। চেষ্টা করেছি কয়েকবার। বয়স ৩০ অতিবাহিত হওয়ার পর বিয়ের প্রতি তার আর আগ্রহ ছিল না। সে তার শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তানের মতো ভালবাসতো।’

মাসুকার বাবা সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী জানান, মাসুকার সঙ্গে মাঝে মধ্যে তার ফোনে কথা হতো। তার খোঁজ খবর নিতেন। প্রতিমাসে হাত খরচ পাঠাতেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়