নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে পরিকল্পিতভাবে শালিসে ফাঁসিয়ে মারধর ও জরিমানা করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২০ জুলাই) বিকালে সুবর্ণচর উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, সম্প্রতি জমি বিক্রির খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান খোকন তাঁর সহযোগী রনি, সুজন, হাসান, সুমনের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১৫ জুলাই বিকালে তাকে স্থানীয় তালতলায় আব্দুর রহমান খোকনের দোকানে নিয়ে মারধর করা হয় এবং মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে পেটানো হয়। পরে ভয় দেখিয়ে স্থানীয় চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গোলাম মাওলা’সহ সালিশ বসিয়ে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকার ‘জরিমানা’ আদায় করা হয় এবং বাকি টাকা না দিলে হত্যাসহ লাশ গুমের হুমকি দেয়।
এই ঘটনায় রোববার সকালে হেলাল উদ্দিন নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। তিনি প্রশাসনের কাছে উল্লেখিত চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন।
হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী জোবায়দা বেগম বলেন, মিথ্যা অভিযোগে আমার স্বামীকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমার স্বামী যদি অপরাধী হতেন, তাহলে দেশের আইন-আদালত আছে, সেখানে তার বিচার হতো। কিন্তু কোন অপরাধ ছাড়াই, চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমার স্বামীকে এভাবে নির্যাতন করেছে। আমি এই চাঁদাবাদ-সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।
নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট ইনস্পেকটর মো. রুহুল আমিন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদেশ অপেক্ষমাণ।
চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গোলাম মাওলা বলেন, শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এলাকার সবার সম্মতিতে সালিশ বৈঠক বসিয়ে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিনকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ১০ বেত্রাঘাত ও চড়-থাপ্পড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চাঁদা দাবির কোন অভিযোগ এরআগে ওঠেনি।