শিরোনাম
◈ কতটুকু সংস্কার ও স্বাধীন হলো বাংলাদেশের বিচারালয়? ◈ জাতীয় দলে সাকিবের ফেরা নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, বন্যার শঙ্কা – ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে ◈ ভোটাভুটি নয়, সর্বসম্মতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনের পক্ষে জামায়াত ◈ মেজর জিয়া চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ড. ইউনূসের মালয়েশিয়া সফর ঘিরে চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি, বাড়বে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ◈ পাকিস্তানকে ৭ উই‌কে‌টে হা‌রি‌য়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের ◈ দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীমের যোগদান ◈ চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অযত্ন-অবহেলায় স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে চিকিৎসক নেই, সেবা নেই, ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০২৫, ০৩:১১ দুপুর
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে কর্দমাক্ত কাঁচা সড়কে জনভোগান্তি : চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত একটি কাঁচা রাস্তা এলাকাবাসীর জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণি খাঁর মোড় থেকে পূর্ব পাড়া ঈদগাহ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এই রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফসলি মাঠ ও জনপদের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রাস্তার দুই পাশে অন্তত ১ হাজার মানুষের বসবাস হলেও, আজও এর কোনো সংস্কার হয়নি।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়—রাস্তার অধিকাংশ জায়গা কাদায় ভর্তি। কোথাও কোথাও প্রায় হাঁটু পর্যন্ত দেবে যাওয়ার মতো অবস্থা। পথচারীদের এই দুর্ভোগ নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। হেঁটে যেতে গিয়ে অনেকে পা পিছলে পড়ে যাচ্চেন। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বর্ষা এলে এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

স্থানীয় কৃষক ইমরান মোল্যা (৩৫) বলেন, ‘আমি প্রতি মৌসুমে কয়েক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করি। কিন্তু বর্ষার সময় এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চলাচল যে কতটা কষ্টের, তা বলে বোঝানো যাবে না। অনেক সময় কাঁধে ও মাথায় করে পেঁয়াজ বস্তা টানতে হয়। রাস্তাটি পাকা করা আমাদের জন্য খুব জরুরি।’

অন্য এক কৃষক ও শিক্ষক ফারুক হোসেন (৪০) বলেন, ‘এই এলাকাটি কৃষিপ্রধান। এখানে এমন চাষি আছেন যারা জাতীয় পর্যায়ের পাট ও পেঁয়াজ উৎপাদক। অথচ এই একটা রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমরা নিজেরাই টাকা দিয়ে মাঝে মাঝে মাটি ফেলে চলাচলের চেষ্টা করি। কিন্তু এভাবে আর চলছে না। এটি পাকা না করলে আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে মনে হচ্ছে।’

স্কুল ছাত্র সায়ান (৮) জানায়, বৃষ্টির দিনে তাদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। সে বলেন, ‘পা পিছলে পড়ি, বই কাদাপানিতে ভিজে যায়। আমাদের অনেক কষ্ট হয়। রাস্তাটি পাকা করা দরকার খুব।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর সরদার বলেন, “রাস্তাটি বহুদিন ধরেই কাঁচা আছে। আমি কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরেছি। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়ছে। আমরা চাই এটি দ্রুত পাকাকরণ হোক।”

এলাকাবাসীর একটাই দাবি—অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই এলাকার রাস্তা যেন দ্রুত পাকা করা হয়। এতে কৃষকদের জীবন-জীবিকা সহজ হবে এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নেও গতি আসবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের দৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপই পারে দাদপুরের জনগণকে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়