জুলাই থেকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করবে কক্সবাজার বিমানবন্দর। এ লক্ষ্যে চলছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচকের যাবতীয় প্রস্তুতি।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে এটি হবে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক গেটওয়ে। চালু হবে কার্গো ফ্লাইটও।বর্তমানে হজরত শাহজালাল (ঢাকা), শাহ আমানত (চট্টগ্রাম) ও ওসমানী (সিলেট) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এটি যুক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে। সমুদ্রঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই অঞ্চলে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবশেষে জুলাই মাসের শেষ দিকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে চাচ্ছে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় নির্মিত এ রানওয়ের সম্প্রসারণ প্রকল্পসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ প্রায় শেষ দিকে। চলছে উদ্বোধনের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সরাসরি আন্তর্জাতিক সংযোগ থাকলে কক্সবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এবং পর্যটনের ব্যাপ্তি বহুগুণে বাড়বে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং সমগ্র দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ প্রায় শেষের পথে। রানওয়ে সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণসহ একাধিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এসব কাজ শেষ হলেই বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে। একই সঙ্গে চালু করা হবে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনাও, যা এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, ২৬ জুন কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।