এ এইচ সবুজ, গাজীপুর: পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ-প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কীটতত্ত্ব বিভাগের বাস্তবায়নে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
রবিবার (২৯ জুন) দিনব্যাপী গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হলরুমে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুরুতে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: জাকির হোসেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের আওতায় গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলার মোট ৬৬ জন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণে বালাই নাশক ব্যবহারের বর্তমান অবস্থা, বিভিন্ন ধরনের পোকা/বালাই দমনে 'বালাই নাশক' নির্বাচনের মৌলিকনীতি সমূহ, বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক বালাই নাশকের সংখ্যা, মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব, অধিক বিপদজনক বালাই নাশকের বিকল্প এবং মাঠ পর্যায়ে এই সকল বিপদজনক বালাই নাশকের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কিভাবে সক্ষমতা উন্নয়ন করা যায় সেই সম্পর্কে উপ- সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এ সময় কর্মকর্তারা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা এবং বালাই দমনের বিভিন্ন সমস্যাদি তুলে ধরেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে কতগুলো অধিক বিপদজনক বালাই নাশক রয়েছে এবং তাদের বিকল্পসমূহ কি কি হতে পারে সে বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত তাদের কোন ধারণা ছিলনা।
কিন্তু এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। বিশেষ করে অধিক বিপদজনক বালাই নাশকের সংখ্যা, মাঠ পর্যায়ে তাদের ব্যবহার,স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে গভীর জ্ঞান লাভ করেন। এছাড়াও একাধিক বালাই নাশকের মিশ্রণ বা ককটেল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো, কার্যকর বালাই দমনে স্প্রে ড্রপলেটের ভূমিকা, উত্তম কৃষি পরিচর্যা ইত্যাদি সম্পকেও শিখেন।
প্রশিক্ষনার্থীরা জানান, বালাই নাশকের উপর এই ধরণের প্রশিক্ষণ তারা এর আগে কখনো পায়নি,তাই এক দিনের পরিবর্তে আরো বেশি সময় নিয়ে এই প্রশিক্ষণ প্রদানের দাবি জানান। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. গোপাল দাস উল্লেখিত প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দলনেতা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো: রমিজউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো মাহবুবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষন প্রদান করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: রফিকুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: হাসিবুল হাসান।