শিরোনাম
◈ এবার ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার! ◈ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার রায়ে যে প্রতিক্রিয়া জানালেন জামায়াত আমির ◈ দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে দু-মুখো সাপ লিখে ছাত্রলীগ সভাপতির নেতার পোস্ট! ◈ নিউ ইয়র্ক, দিল্লি কিংবা বেজিং নয়, জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম শহর জাপা‌নের টো‌কিও ◈ খেলার মা‌ঠে ভুল করা বাংলাদেশের রুটিন হয়ে গেছে: রমিজ রাজা ◈ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ ◈ বড় প‌রিবর্তন আস‌ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বোলাররা পা‌বেন বাড়তি সুবিধা ◈ নির্বাচনি রোডম্যাপ কবে, কতটা প্রস্তুত ইসি? ◈ ২০২৫ সালের হজ: শীর্ষ ১০ দেশ ও কোটা নির্ধারণের প্রক্রিয়া

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৫, ১০:৩৩ রাত
আপডেট : ০১ জুন, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামীর বাংলাদেশে কোন চাঁদাবাজের স্থান হবেনা : সারজিস

এম, এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে কোন চাঁদাবাজের স্থান হবেনা। একজন চাঁদাবাজ সে যে দলেরই হোকনা কেন, তার দলের যতই ক্ষমতা হোকনা কেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা দাড়িয়ে যাব। একটি উপজেলা এবং জেলার একজন চাঁদাবাজ কতবড় ক্ষমতাবান হতে পারে। আমরা বিশ^াস করি সে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় ক্ষমতাবান না। শেখ হাসিনার যদি পতন হতে পারে এরকম জেলা উপজেলা দুই চারজন ছেঁচড়া চাঁদাবাজেরও পতন সম্ভব।

উত্তরবঙ্গের এনসিপির বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পথসভার অংশ হিসেবে দিনাজপুর জেলায় ২য় দিন বুধবার সকালে বিরল পৌর শহরের বকুলতোলা মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রিয় এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দল দেখার দরকার নাই, মার্কা দেখার দেখার দরকার নাই, যেই মানুষটা ভালো, যেই মানুষটা টাকা ছাড়া কথা বলে, আপনার জন্য কাজ করে, তাদেরকেই আগামীর বাংলাদেশে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। একটা জিনিস মনে রাখবেন স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও যদি আপনারা ঘোরান্ধ থাকেন, মার্কা দেখে অন্ধ ভাবে ভোট দেন ,তাহলে আমাদের দ্বারা বাংলাদেশের পরিবর্তন খুব বেশি সম্ভব নয়। আপনাদের দেখতে হবে যেই লোকটা ভালো কাজ করে, আপনাদের সাথে কথা বলে, আপনাদের কথা শুনে, নির্বাচন ছাড়াও আপনার এলাকায় আসে। সেই লোকটা যদি কোন দলের নাও হয়, তার যদি বড় কোন মার্কা নাও থাকে সেই লোকটাকেই আগামীর বাংলাদেশে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে।

সীঁমান্ত এলাকার মাদকের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই সীমান্তবর্ত্তী উপজেলা গুলোর প্রত্যেকটি উপজেলায় মাদকের চোরাচালান হয়। এই মাদকের ব্যবসা গুলো বা সিন্ডিকেট গুলো কোন রাজনৈতিক দলের বড় বড় পদধারী চৌকস কিছু নেতা এই ব্যবসা গুলো পরিচালনা করে বা সিন্ডিকেট গুলো পরিচালনা করে। তারা দিনের আলোতে ভাব নেয় এক এক জন সাধু সন্যাসী, রাতের আধারে তারা তাদের ভাগ গুনে নেয়। যেই কালপিট চৌকস নেতারা এই মাদকের সিন্ডিকেট চালায় তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কথা বলতে হবে। যদি
কথা না বলেন যখন এটা ব্যধী হিসাবে ছড়িয়ে পড়বে, তখন এটাকে ফিরাতে পারবেন না।

আমরা আমাদের জায়গা থেকে আপনাদের অনুরোধ করি, আপনার এই উপজেলায় যদি ভালো কিছু মানুষ থাকে বা ভালো পুলিশের সদস্য থাকে, আপনারা তাদের প্রশংসা করবেন। সবার সামনে তাদের ভালো কাজগুলোকে তুলে ধরবেন। আবার কোন পুলিশ যদি টাকা ছাড়া কাজ না করে, তার ছবিসহ অপকর্ম গুলো স্যসাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিবেন।  এই একই কথা যে কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের জন্য প্রযোজ্য। কোন জিনিস দেখেই বিশ্বাস করার দরকার নেই অনেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রভাগান্ডা ছড়াতে পারে। বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছড়াতে পারে। আপনারা আগে যাচাই করে দেখবেন। যদি তার আসলেই অপকর্মের ক্রটি থাকে তাহলে সে হোক কোন দলের নেতা, হোক কোন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, হোক আইনশৃংলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের একসাথে দাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ভালো যদি নেতা খুঁজেন, তার আগে ভালো ভোটার হতে হবে। বিবেকবোধ সম্পর্ন যদি নেতা খুঁজেন, তার আগে নিজেকে বিবেকভোধ সম্পর্ন ভোটার হতে হবে। আমরা একটি বারের জন্য বলিনি সবাই কে বাদ দিয়ে আমাদের ভোট দেন। যে দলেরই হোকনা কেন, যদি ভালো মানুষ আসে সবার জন্যই ভালো, আর যদি খারাপ মানুষ আসে সবার জন্যই খারাপ। তিনি বিরলের কথা উল্লেখ করে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনাদের বিরলে মামলা ব্যবসা চলে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই মামলা ব্যবসা চলছে। কোন একটি রাজনৈতিক দল ইচ্ছা করে অন্যকোন একটি রাজনৈতিক দলের নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হয়রাণী করার জন্য, টাকা খাওয়ার জন্য এই মামলা ব্যবসা শুরু করেছে। এই মামলা ব্যবসা উচিৎ নয়, চলতে দেয়া যাবেনা। একটা মানুষ যদি নিরাপরাধ হয়, সে যেই দলেরই হোকনা কেন, তার উপরে অন্যায় করা যাবেনা । যারা জুলুম করে তার উপরে যে জুলুম ফিরে আসে তার উদাহরণ হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ যারা এই নোংরা কালচার গুলো করে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কথা বলুন। আজকে হয়তো তারা আপনার বিরুদ্ধাচারণ করছে না, একদিন হয়তো আপনার বিরুদ্ধেই তারা দাড়িয়ে যেতে পারে। তাই যারা সুযোগ সন্ধানী, অসৎ, চাদাবাজ, সিন্ডিকেটধারী, দোখলদার, তাদেরকে পরিত্যাগ করার এখনই উপযুক্ত সময়। 

তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগে সে ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হতো না। উন্নয়ন বৈষ্যমের মধ্য দিয়ে বিগত এক দশকে উত্তরাঞ্চলের কি কি সমস্যা, সেগুলো রাজ পথ থেকে মাঠে ঘাটে দেখে উচ্চ পর্যায়ে পৌছে দিতে আমি এসেছি। আগামীর বাংলাদেশে যারা নেতৃত্ব দিতে চায়। তাদের আগে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নে ঘুরে দেখতে হবে। জানতে হবে মানুষ কি চায়, রাস্তা ঘাটের কি অবস্থা। হাসপাতাল গুলোতে শুধু বিল্ডিং আছে না কি ডাক্তারও আছে। ভালো পুলিশ কর্মকর্তা না কি টাকা খাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা আছে, ভুমি অফিস গুলোতে মানুষ প্রাপ্য সেবাটুকু পাচ্ছে কি না? না কি সেবা পেতে দরকষাকষি হয়। সাধারণ জনগন নির্দিষ্ট কোন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি কিনা। বাজার ঘাট,পরিবহনে গুলোতে চাঁদাবাজি হয় কি না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়