শিরোনাম
◈ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করলো সরকার ◈ রাজধানীতে ৯ স্থানে সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা ◈ বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় কিভাবে বোতল পড়ল, যা বললেন সেই শিক্ষাথী ◈ জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাইজমানি ঘোষণা, বাংলা‌দেশ পা‌বে ৮ কো‌টি ৭৫ লাখ টাকা ◈ ভারতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী পুশ-ইন,  কুড়িগ্রামে আটক ৫ ◈ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন : অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ পূর্ণ দিবস ধর্মঘট ঘোষণা, ঢাবির একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবনে তালা ◈ মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেটের দাম না কমালে কঠোর হবে সরকার: ফয়েজ আহমদ

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২৫, ১০:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৫ মে, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

মিজান লিটন : চাঁদপুর শহরের ৫নম্বর রেলওয়েঘাট এলাকায় মা জায়েদা বেগমকে (৪৫) ইট ও দা দিয়ে আঘাত করে হত্যার দায়ে ছেলে শরীফ বেপারীকে (৩২) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শামছুন্নাহার এই রায় দেন।

হত্যার শিকার জায়েদা বেগম রেলওয়েঘাট এলাকার আরব আলী বেপারীর স্ত্রী এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত শরীফ বড় ছেলে। তারা রেলওয়েঘাট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন এবং তাদের স্থায়ী ঠিকানা সদর উপজেলার কল্যানপুর ইউনিয়নের দাসদী গ্রামের বেপারী বাড়ি।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, শরীফ মাদকাসক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় মাদক মামলা ছিলো। মাদক সেবন করে প্রায় শরীফ তার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করত। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায় শরীফ তার মাকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ইট ও দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জায়েদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করে।

জায়েদা বেগমের হত্যার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীফকে আটক করে।

এই ঘটনায় আরব আলী বেপারী ওইরাতেই স্ত্রীকে হত্যায় অভিযুক্ত করে ছেলে শরীফকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদ তদন্ত শেষে ওই বছর ১০ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কুহিনুর বেগম বলেন, মামলাটি প্রায় ৮ বছর চলমান অবস্থায় ১৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। স্বাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীর অপরাধ স্বীকার এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামী উপস্থিত ছিলেন। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়