বরিশালে পুলিশের হাত থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী এবং বরিশাল বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলার আসামি খালেদ খান রবীন পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে ক্লোল্ড করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গতবছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বরিশাল বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চর আইচা শাখা ছাত্রলীগের ক্যাডার বলে পরিচিত খালেদ খান রবীন আজ দুপুরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীকে দেখতে আসেন। এসময় তিনি জনতার হাতে ধরা পড়েন। তাকে মেডিকেল জরুরি বিভাগের সামনে গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ হাসপাতালে এসে শুনতে পায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রবীনকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে তার আত্মীয়রা। এসময় পুলিশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে তাকে আর পায়নি।
জানা যায়, সে বরিশাল কোতয়ালী থানায় গত আগস্ট মাসে দায়ের করা মামলার নামধারি আসামী। এরপর তাকে ধরতে পুলিশের স্পেশাল টিম নামানো হয়।
এদিকে এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানাভুক্ত স্টিমার ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইঞ্চার্জ, এস আই মো. রেজাউল ইসলাম, এ এস আই মাহবুব হোসেন, কন্সস্টেবল মো. জাহাঙ্গির ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের মহানগর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।