শিরোনাম
◈ কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন? ◈ জনঅভিযোগে সাড়া দিচ্ছে সরকার: দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ৯০৯টি ই-মেইল, শুরু হয়েছে পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ ◈ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভুলে সব শেষ, খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ কর্মীরা ◈ “নারীকে অপমান ইসলামবিরোধী কাজ”—নারী কমিশন নিয়ে সমালোচনার জবাবে ফরহাদ মজহার ◈ ভারতের ছত্তিশগড়ে ট্রাকের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত ◈ পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলা, ২ পুলিশ নিহত ◈ আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি'র আশঙ্কা: ২৪-২৬ মে উপকূল আঘাত হানতে পারে ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে আইনজীবীদের ব্যাখ্যা, চলে যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে ◈ পাকিস্তান সফ‌রে যাওয়া কি আদৌ নিরাপদ! চিন্তিত বি‌সি‌বি ◈ আইপিএল না হলে ভারতীয় ক্রিকেট বো‌র্ডের ক্ষতি ২০০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ০১:১৯ দুপুর
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোমতী নদীতে পানি কমলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

শাহাজাদা  এমরান , কুমিল্লা ।। গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পরই ভেঙ্গে যায় গোমতী বাঁধের বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশ। এই বাঁধ ভাঙ্গার ফলে প্লাবিত হয় বুড়িচং, ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা। আংশিক প্লাবিত হয় আদর্শ সদর ও দেবিদ্বার উপজেলা। এই চার উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ বুড়িচং উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দূর্গম এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো হওয়ায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। অধিকাংশের বেশি আশ্রয় কেন্দ্র গুলোর নিচতলা পানিতে ডুবে আছে। 
এদিকে, প্রশাসনের কিছুটা নির্লিপ্তার কারণে ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতা লক্ষ করা গেছে শুরুতেই। এজন্য অভিযোগ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। 

অপর দিকে,২৩ আগস্ট শনিবার থেকেই গোমতী নদীর পানি ক্রমান্বয়ে কমছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পোনে ৭টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি ছিল বিপদ সীমা থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার উপরে। গোমতী নদীতে পানি কমলেও প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। নতুন প্লাবিত হওয়া গ্রামের  মানুষ গুলো খুঁজছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। গতকাল রোববার নতুন ভাবে যে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বুড়িচং উপজেলার বাকশিমূল ইউনিয়নের পিতাম্বর গ্রাম। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবল স্্েরাতে এই গ্রামে পানি ঢুকছে। প্লাবিত হচ্ছে বাড়ি ঘর। স্বেচ্ছাসেবকরা  নৌকার অভাবে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে মহিলা ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিচ্ছে। 

গোমতী নদীতে আর ভাঙ্গনের আশংকা আছে কিনা জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক ওয়ালিদ উজ জামান বলেন, গোমতী নদীর স্বাভাবিক পানির প্রবাহ হচ্ছে ১১.৩ সেন্টিমিটার। আর সাধারণত গোমতী নদীতে পানি থাকে জ্জ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকে। বর্তমানে এখন( সোমবার সন্ধ্যা পোনে ৭টা ) গোমতী নদীতে  পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। তিনি বলেন, পানি কমলেও বাঁধ কিন্তু আশংকামুক্ত না। কারণ, স্বাভাবিকের চেয়ে যে পানি গুলো উপরে আছে সেগুলো তো কোথায়ও না কোথাও দিয়ে সরতে হবে। তিনি বলেন, আর বড় ধরনের বৃষ্টি না হলে আর পাহাড়ি ঢল না আসলে পানি বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু গোমতী এখনো বিপদ মুক্ত নয়। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়