জেরিন আহমেদ: [২] ঘূর্ণিঝড় মিধিলি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার পর দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে পটুয়াখালী ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
[৩] এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টায় উপকূল অতিক্রম করে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
[৪] গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
[৫] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
[৬] এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছিলেন, মিধিলি ‘এ’ ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়। এটি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে না।
[৭] আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, মিধিলি খুবই দুর্বল মানের একটি ঘূর্ণিঝড়। এর কেন্দ্রের আকার ৫০ কিলোমিটারের মতো। পুরো শরীরের আকার ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। তবে উপকূলীয় এলাকায় কিছুটা বৃষ্টি থাকবে। আজ রাত ১২টার পর থেকেই মূলত বৃষ্টি শেষ হয়ে যাবে। ঢাকায়ও সন্ধ্যার পর আর বৃষ্টি থাকবে না। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে গত রাত থেকেই সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায় দিনভর বৃষ্টি হয়। শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া শুক্রবার সকালে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে বিপৎসংকেত জারির পর সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :