জেরিন আহমেদ: বুধবার সকালে আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাপপ্রবাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে, রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর ও সৈয়দপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সূত্র: আবহাওয়া বুলেটিন
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। দেশে সর্বোচ্চ ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে।
অস্বস্তিকর এই গরমের দুই কারণ চিহ্নিত করেছে আবহাওয়াবিদরা। তাদের মতে, এখন যেরকম গরম পড়েছে তার প্রধান কারণ বাতাসের আদ্রতা। পাশাপাশি বৃষ্টি কম হওয়ার কারণেও এই দুরবস্থা। বর্ষা আসার আগেই কালবৈশাখীর কারণে গত বছর আবহাওয়া এতটা চরম অবস্থায় ছিল না। সে তুলনায় এবার বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। এই কারণেই এতটা গরম পড়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জুনের প্রথম সপ্তাহেই আসার কথা ছিল মৌসুমী বায়ুর। কিন্তু এখন তারা জানাচ্ছে, দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের উপকূলে আসবে এটি।
এদিকে সারাদেশে এই বায়ুর বিস্তার লাভ করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। সেই হিসাবে তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ সারাদেশে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তবে তার আগে ১০ জুন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হবে। এতে করে কমে আসবে দেশের তাপমাত্রা।
তবে আবহাওয়া অফিস থেকে এটাও জানানো হয়েছে, পুরো বর্ষা শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই গরম পুরোপুরি কমবে না। কারণ যে পরিমাণ তাপপ্রবাহ হচ্ছে তাতে মাটির উষ্ণতা অনেক বেড়ে গেছে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
জেএ/এসএইচবি/একে