বিনোদন ডেস্ক: রিজুভা এবং রিয়েল হি্রোস এক্সপো এন্ড কমিউনিকেশন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজন করেছে ‘মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’। এর আগে ভারত, আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত হয়েছিল। আমাদের দেশের জন্য এবারই প্রথম। সূত্র: প্রেস রিলিজ
অনুষ্ঠানে ‘মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২২/২৩’ এর বিজয়ী নুসরাত মেঘলা। এছাড়া প্রথম রানারআপ হন যাযীবা, দ্বিতীয় রানারআপ অহনা, ৪র্থ ইস্টার ও ৫ম হ্রৃদীতী।
বিচারক ছিলেন, মুকিত মজুমদার বাবু -প্রতিষ্ঠাতা প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, কন্ঠশিল্পী শাফিন আহমেদ, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, অভিনেত্রী স্বাগতা, মুনজেরিন অবনী, তওহীদা তিফা, ড: লায়লা নুর ই নাজনীন, মুমতাহিনা হাসনাত রিতু এবং সিলভী মাহমুদ।
আরও ছিলেন ‘মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল’ এর আন্তর্জাতিক বিজয়ী NGÖ NGOC GIA HAN এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ক্রিস গাংগওয়ার। অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজকরা চমৎকার আয়োজন সম্পন্ন করেন।
রিয়েল হিরোস এক্সপো এন্ড কমিউনিকেশনের কর্ণধার মালা খন্দকার এর আগেও অনেকগুলো সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমরা যেসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি সেখানে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপর ভিত্তি করেই করা হয় নি, এমন কিছু প্রতিযোগিতা আছে যেখানে তাদের শুধু মেধা এবং কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস এর উপর ভিত্তি করে করা হয়। এ প্রতিযোগিতাটি একটু ভিন্নধর্মী কারণ এখানে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা অংশগ্রহণ করবে। সাধারণত যে কোনো প্রতিযোগিতায় উচ্চতার বিষয়টি থাকে কিন্তু এখানে উচ্চতা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তাই যাদেরই প্রতিভা আছে বা যারাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে তারাই এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে।’
রিজুভার কর্ণধার ডাঃ তাওহীদা রহমান ইরিন, তিনি পেশায় একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ কিন্তু বিভিন্ন ধরণের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতার সাথে তিনি সংযুক্ত আছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী তখন থেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রতি একটা আলাদা ধরণের দুর্বলতা ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু তখন সেভাবে এ ধরণের প্রতিযোগিতা হয় নি বা অংশগ্রহণের সুযোগও ছিল না, তবে সময়ের সাথে আমি আমার পেশাকে এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সাথে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বপ্ন দেখার কোনো শেষ নেই, স্বপ্ন যদি আমি দেখতে থাকি এবং এর উপর যদি আমি অনুশীলন করতে থাকি আমার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই। আজ আমরা ছোট পরিসরে শুরু করছি, কিন্তু একদিন এই মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল এগিয়ে যাবে বহুদূর। কিশোরী অবস্থায় স্বপ্ন দেখা শুরু আমার, আর স্বপ্ন পূরণের একটি অধ্যায় শুরু তখনই যখন এই প্রতিযোগিতা আমরা ছোট পরিসরে হলেও শুরু করতে পেরেছি এবং বাস্তবায়ন তখনই যখন আমাদের মেয়ে বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশকে তুলে ধরবে। ক্রাউন হচ্ছে যে কোনো পেজেন্টেরই একটি লক্ষ্য কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের দরবারে নিজের দেশকে তুলে ধরা, নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরা।’
গত ৭ তারিখে মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের অডিশন সম্পন্ন হয়। এ অডিশনে ১০০ প্রতিযোগি থেকে ৫ জন কে নিয়ে ফাইনাল এর আয়োজন করা হয়। আগামী জুনের ২৫ তারিখ কম্বোডিয়াতে মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতার গালা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ী। সম্পাদনা: নাহিদ হাসান
এএস/এনএইচ