ইমরুল শাহেদ: শাকিব খান, বুবলী এবং তাদের সন্তান নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এখানে দুই ধরনের সমালোচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক দল শাকিব খান এবং বুবলীকে প্রায় কাঠগড়ায় দাঁড় করাবার চেষ্টা করছেন। আরেক দল শাকিব খানকে ধোয়া তুলসী পাতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টায় রত। দুই পক্ষই পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন।
একজন লিখেছেন, শিল্পীকে তার কর্ম দিয়ে বিবেচনা করা উচিত, ব্যক্তি জীবন নিয়ে নয়। আরেকজন কোন তারকা কয়টি বিয়ে করেছেন সেটা তুলে ধরে লিখেছেন, অপুর্ব ৩ বিয়ে করেছে.. পরিমনি ৪ বিয়ে করেছে! মিথিলা ২ বিয়ে করেছে.. প্রভা ৩ বিয়ে করেছে! মাহি ৩ বিয়ে করেছে! আলমগীর, জসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাকিল খান, হুমায়ুন ফরিদী, রাজীব উনারাও ২টা করে বিয়ে করেছেন!
কেউ কেউ চিত্রাভিনেত্রী রাত্রীর ছেলে রাহুলকে সামনে টেনে আনছেন। রাহুলও যে শাকিব খানের অস্বীকৃত সন্তান সেটা তারা জোর দিয়ে উল্লেখ করছেন। প্রশ্ন এখানে নয়। বিষয়টা হলো একজন তারকা কখনোই নিজের নয়। তিনি কাজ করে যান দর্শকের জন্য। দর্শক যদি একজন তারকাকে প্রত্যাখান করে তাহলে তার সোজা হয়ে দাঁড়াবার কোনো সুযোগ নেই।
নির্মাতারা তারকা তৈরি করেন বাণিজ্যিক স্বার্থে। তারা বিনিয়োগ করেন লাভের আশায়। বিন্দু বিন্দু লাভের মধ্য দিয়ে একজন তারকা প্রতিষ্ঠা পান। যিনি প্রকৃত তারকা তার একটা সামাজিক প্রভাব থাকে। তিনি অনেকের কাছে অনুসরণের বিষয় হয়ে উঠেন। দীলিপ কাটিং, রাজেশ খান্না পাঞ্জাবী ইত্যাদি তারই প্রতিফলন। দীলিপ কুমার বা রাজেশ খান্নারা একজনের সঙ্গে প্রেম করেছেন এবং একজনকেই বিয়ে করেছেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হয়তো আরো সঙ্গে ছিল। সেটা গণমাধ্যমের বিবরণেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।
এ দেশের প্রেক্ষিতে শাকিব খান একজন তারকা। তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা পারিবারিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে। ফেসবুক ট্রল থেকে সেটাই স্পষ্ট। যে তারকা সমাজকে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে অবক্ষয়ের ঠেলে দেয়, তাদের অবাধ বিচরণকে কিছুতেই অনুমোদন দেওয়া যায় না।
আপনার মতামত লিখুন :