অবশেষে জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন অভিনেত্রী তানিন সুবহা। দীর্ঘ ৮ দিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেত্রীর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনার সৃষ্টি দিয়েছে তার একটি ফেসবুক পোস্ট। গত ১৯ মে তানিন এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তাবিজ-কুফরির প্রতি একসময়ের অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাস হওয়ার কথা। কেননা তিনি এর শিকার বলেও মনে করতেন।
১৯ মে তানিন সুবহা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘কোনোদিন আমি তাবিজ বা কুফরিতে বিশ্বাস করতাম না। এখন করি। সুস্থ একটা মানুষকে এভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা করে কী লাভ? ঘরে আনাচে-কানাচে কত কী যে পেলাম। কেন এমন করছেন? আমিতো কারো ক্ষতি করিনি। লাস্ট চার মাস ধরে শুধু অসুস্থ আর অসুস্থ আমি। এসবের ফল পাবেন, চিন্তা কইরেন না। আল্লাহ ছাড় দেয়, কিন্তু ছেড়ে দেয় না।’
তানিন সুবহা ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুদিন পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এই অভিনেত্রীকে। তারপর থেকে শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১০ জুন মৃত্যু হয় এই অভিনেত্রীর।
তানিন সুবাহর মৃত্যু এবং তার ফেসবুক পোস্টকে অনেকে কাকতালীয় বলছেন। আবার কেউ কেউ এর পেছনে অন্য কিছু থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছেন অনেকেই।
বলা দরকার, আজাদ কালামের পরিচালনায় ‘যমজ’ নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে তানিন সুবহার মিডিয়াতে অভিষেক ঘটে। এরপর তাকে দেখা গেছে মীর সাব্বিরের ‘আলাল দুলাল’, সেলিম রেজার ‘শেয়ানা জামাই’, নাহিদ হাসানের ‘ম্যারেজ মিডিয়া ডটকম’, মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘আরতির পতাকা’সহ আরো বেশ কিছু খণ্ড নাটকে।
নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তানিন। ‘মাটির পরী’র মধ্যদিয়ে পা রাখেন বড়পর্দায়। এরপর কাজ করেছেন বেশ ক’টি সিনেমায়। অভিনয়ের পাশাপাশি একটি পার্লার চালাতেন এই অভিনেত্রী।