শিরোনাম
◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈ নতুন আইন হচ্ছে র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৯:৪৮ রাত
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কলকাতার উৎসবে ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] সরকারি অনুদানে নির্মিত দেশের প্রামাণ্যচিত্র ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’। ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল কলকাতা শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে এটি। রোববার (৪ আগস্ট) দেখা যাবে ঝুমুর আসমা জুঁই পরিচালিত এই প্রামাণ্যচিত্র। 

[৩] জানা যায়, বিলুপ্তপ্রায় সার্কাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসে নির্মিত হয়েছে দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস। ১৯৪৭ সালের দিকে একটি সার্কাসের দল গঠন করেন শ্রী লক্ষণ দাস, যা ‘দ্য রয়েল পাকিস্তান সার্কাস’ নামে পরিচিতি পায়। তিনি যখন খেলা দেখাতেন, তখন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তা দেখতে আসতেন। একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন লক্ষণ দাস। এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত তিনি। সমাপ্ত হয় এক মহান সার্কাস শিল্পীর জীবন। এমনকি তার আদরের হাতিটাকেও পাঁচটা গুলি করে পাকসেনা।

[৪] দেশ স্বাধীনের পর লক্ষণ দাসের দুই ছেলে শ্রী অরুণ দাস ও শ্রী বীরেন দাস আবারও দল গঠন করেন। যার নাম দেয়া হয় ‘দ্য রয়েল বেঙ্গল সার্কাস’ ও ‘দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস’। গত ৬০ বছর ধরে কোনো প্রাপ্তির আশা না করে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষকে বিনোদন দিয়ে আসছেন তারা। সার্কাসের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন কঠিন সংগ্রাম। 

[৫] জানা যায়, এই দলের ছিল তিনটি নৌকা। একসময় প্রতিটি নৌকায় ৭০ থেকে ৮০ জন শিল্পী অবস্থান করতেন। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে হত সার্কাস প্রদর্শনী। কিন্তু বর্তমানে সার্কাসের কোনো শো নেই বললেই চলে।

[৬] অরুণ দাস বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে সার্কাসের জন্য অনুমতি পাওয়া। আর এত বড় আয়োজন অনুমতি ছাড়া করা সম্ভব না। সার্কাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজীবন সংগ্রাম করে যাওয়া মানুষগুলোর পাশে থাকাই এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির মূল উদ্দেশ্য।’

[৭] তিনি আরও বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় এই শিল্পটিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখা খুব জরুরি। এই শিল্পকে সংরক্ষণ করতে দ্য লক্ষণ দাস সার্কাসের মতো আরও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।’

[৮] এর আগে দিল্লির ১৪তম দাদা সাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ সম্মাননা অর্জন করেছিল দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস চলচ্চিত্রটি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসসিডি/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়