এম এম লিংকন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ইভিএমের সর্বোচ্চটা ব্যবহার করতে চাইছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এই সব মেশিন সরবরাহ ও মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ জানিয়েছে ইসির হাতে থাকা ইভিএমগুলা মেরামত করতে সময় লাগবে ছয় মাস এবং মোট খরচ পড়বে প্রায় ১২৬০ কোটি টাকা। কিন্তু ইসি বলছে, মেরামত বাবদ এই ১২৬০ কোটি টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা এখনও পায়নি তারা। তবে, ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দেশের পাঁচটি সিটির ভোট আপাতত ইভিএমে নেয়ার সক্ষমতা আছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির।
এদিকে ইসি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ১১৪ কোটি টাকা বকেয়া থাকার কারণে প্রায় দেড় মাস ধরে নাগরিকদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্মার্টকার্ড ছাপানো কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্মার্টকার্ড প্রত্যাশীদের। ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ, গুদাম ভাড়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্টকার্ড মুদ্রণ বাবদ এই টাকা পাবে বিএমটিএফ।
ইসি বলছে, ১ লাখ ১০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামত করতে হবে ইসিকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের হাতে আর সময় আছে প্রায় নয় মাস। সেখানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে মেরামত সম্পূর্ন করে ইভিএমগুলো দিতে পারবে কমিশনকে। সেক্ষেত্রে আর মাত্র সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা না পেলে জাতীয় নির্বাচনের কোন আসনে ইভিএম ব্যবহার করার নিশ্চয়তা থাকছে না ইসির।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএমটিএফের কাছে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল তৎকালীন কেএম নূরুল হুদা কমিশন। এই সব ইভিএম মেশিনের এক বছর গ্যারেন্টি ও পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি দিয়েছিল বিএমটিএফ। সে অনুযায়ী এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে জুলাইয়ে। এই জন্য এই প্রকল্পের এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রাকিবুল হাসান আমাদের সময় ডট কমকে বলছেন, আপাতত ২০ হাজারের মতো ইভিএম এই মহুর্তে সচল আছে। যা দিয়ে পাঁচটি সিটির ভোট সম্পূর্ন করা সম্ভব। কিন্তু এসব মেশিন আবার মেরামত না করলে আবার কখন যে নষ্ট হয় সেটাও বলা যানে না। কারন এই সব মেশিনের বয়স পাঁচ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছে। এই মহুর্তে এগুলো পুনরায় ভালোভাবে মেরামত করলে আরো কয়েক বছর ব্যবহার করার নিশ্চয়তা থাকতো।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলছে, টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। ইতোমধ্যে কয়েকজন কমিশনার বলেছেন, সময়ের মধ্যে টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা না পেলে আমরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিবো ইভিএম আদৌ ব্যবহার হবে কি না।
এমএল/এসবি২